৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেশে ২,০০০ টাকা নোট পরিবর্তনের শেষ সীমা ধার্য করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সীমা অতিক্রম হলেও সম্পূর্ণ ভাবে ২,০০০ টাকার নোট অপসারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে RBI-এর তরফ থেকে।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে আর্থিক লেনদেনের জন্য যে পরিমাণ দুই হাজার টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল তার ৯০% টাকা রিটার্ন এসেছে। বাকি ১০ শতাংশ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সমতুল্য ২,০০০ টাকার নোট থেকে গেছে বাজারে।
বাজারে থাকা দুই হাজার টাকার নোটগুলি আর ব্যবহার করতে পারবেন না কেউ। কারণ, গত ৩০শে সেপ্টেম্বরে ওই টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। যে টাকা এখন বাজারে রয়েছে, তার মাধ্যমে কোনরকম আদান-প্রদান করতে পারবেন না।
তবে ২,০০০ টাকার নোট রিটার্ন নেওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে নতুন ১,০০০ টাকার নোট নিয়ে আসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। জানিয়ে রাখি, ২০১৬ সালে একসাথে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বন্ধ করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কয়েক মাসের মধ্যে নতুন ৫০০ ও ২,০০০ আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
২,০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করার পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে নতুন ১,০০০ টাকার নোট নিয়ে আসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু এবার সকল সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বড় সংবাদ ঘোষণা করল RBI।
সবচেয়ে বৃহৎ ব্যাংকের তরফ থেকে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামীতে নতুন ১,০০০ বাজারে আনার কোন পরিকল্পনা নেই রিজার্ভ ব্যাংকের। এখন ভারতীয়রা বেশিরভাগ কার্যক্রম অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করছে। প্রয়োজনীয় কাজ মেটানোর জন্য অতিরিক্ত নোট বাজারের না নিয়ে এলেও কোন সমস্যা হবে না।