বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের কাছ থেকে শুক্রাণু কিনছে একটি চীনা স্পার্ম ব্যাংক জন্মহার কমে যাওয়ায়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে সবচেয়ে সেরা শুক্রাণু সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে ওই ব্যাংক।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হেনান প্রদেশের হিউম্যান স্পার্ম ব্যাংকের লক্ষ্য সর্বোচ্চ সংখ্যার ও সবচেয়ে শক্তিশালী শুক্রাণুর সন্ধান করা।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাদ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানায়, ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ৫০ দিন পর পর সর্বোচ্চ ২০ বার শুক্রাণু দিতে পারবেন। প্রতিবার শুক্রাণু দেয়ার জন্য এক শিক্ষার্থী ৬ হাজার ১০০ ইউয়ান পাবেন। কিন্তু শুক্রাণু দিতে এক শিক্ষার্থীর ৫ ফিট ৪ ইঞ্চির বেশি উচ্চতা হতে হবে। সেই সাথে ধূমপায়ী, মাদকাসক্ত এবং সমকামি হওয়া যাবে না। শুক্রাণুর নমুনাগুলো কমপক্ষে চারটি মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হবে যেমন-ঘনত্ব, আয়তন, গঠন ও গতিশীলতা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর হিউম্যান স্পার্ম ব্যাংক শুক্রাণু সংগ্রহের এ আয়োজনের কথা জানান। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে দেয়া একটি পোস্টে জানায়, রক্তদানের মতো শুক্রাণু দেয়াও একটি মানবিক কর্মকাণ্ড। এটি মানুষের জীবনে সুসংবাদ নিয়ে আসতে পারে।
চীনে জনসংখ্যার হার এমনভাবে হ্রাস পেয়েছে যে, কিছু দিন আগেই সে দেশের ‘দুই সন্তান নীতি’ আইন তুলে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমেছে ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো। বিষয়টিকে একটি দীর্ঘ সময় ধরে নাগরিকের সংখ্যা কমতে থাকার ঐতিহাসিক সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চীনে। ওই বছরটি ছিল দেশটির মহা দুর্ভিক্ষের শেষ বছর।
গত ১৭ জানুয়ারি চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কমে ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে গিয়েছে।