খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা এনটিপিসি লিমিটেড ভারতে সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ উপাদন করে। এই সংস্থা ফ্লাই অ্যাশ থেকে কংক্রিট তৈরি করার অমসৃণ জিও-পলিমার উপাদান উদ্ভাবন করেছে। জিও পলিমারের বৈশিষ্ট্য হল এটি সাধারণ তাপমাত্রায় জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এনটিপিসির এই উদ্ভাবনের ফলে পরিবেশ থেকে কংক্রিট তৈরি করার জন্য সিমেন্টের উপাদান সংগ্রহের প্রবনতা কমবে।
এনটিপিসি-র গবেষণা প্রকল্পে ফ্লাই অ্যাশ থেকে পাওয়া অমসৃণ জিও -পলিমার জাতীয় পদার্থ, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিমেন্ট অ্যান্ড বিল্ডিং মেটিরিয়াল্স (এনসিসিবিএম)-এর থেকে ভারতীয় মান অনুসারে প্রয়োজনীয় স্বীকৃতি পেয়েছে। এনসিসিবিএম-এর হায়দ্রাবাদ থেকে জানানো হয়েছে নির্মাণ কাজে ফ্লাই অ্যাশ থেকে পাওয়া এ ধরণের জিও-পলিমার উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।
এনটিপিসির উন্নয়ন ও গবেষণা শাখার এই উদ্ভাবন ছাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করল। ভারতে প্রতি বছর ২০০ কোটি মেট্রিক টন সিমেন্টের মতন উপাদানের প্রয়োজন হয়। এনটিপিসি-র এই উদ্ভাবনের ফলে এই চাহিদা ফ্লাই অ্যাশের থেকে খানিকটা পূরণ হবে। এর ফলে পরিবেশে থাকা পাথর গুঁড়ো করার মতো প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবেনা এবং পরিবেশে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
ভারতে প্রতি বছর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে যে কয়লা ব্যবহার করা হয় তার থেকে ২৫ কোটি ৮০ কোটি মেট্রিক টনের মতো ছাই পাওয়া যায়। এই ছাইয়ের ৭৮ শতাংশ নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকি ছাই অব্যবহৃত থাকায় তার থেকে নানা রকমের সমস্যা তৈরি হয়। এনটিপিসি-র এই উদ্ভাবনের ফলে বাকি ছাইয়ের ৯০ শতাংশ ব্যবহার করা যাবে।
ছাইয়ের থেকে পাওয়া জিও-পলিমার উপাদানটি নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত হলে তা পরিবেশ বান্ধব হবে, কারণ এক্ষেত্রে সিমেন্টের প্রয়োজন হবেনা। এই জিও -পলিমার উপাদানের সাহায্যে চুন, বালির যে মিশ্রণ তৈরি হবে সেটি ইঁট গাঁথার কাজে ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে বাতাসে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমবে। দেখা গেছে এই উপাদানটি ব্যবহার করলে জমাট বাঁধানোর ক্ষেত্রে কম জলের প্রয়োজন হয়। সূত্র – পিআইবি।