রাজনৈতিক নেতাসহ আহত ১১, পাকিস্তানে বিস্ফোরণ

Published By: Khabar India Online | Published On:

বোমা হামলার ঘটনা পাকিস্তানে রাজনৈতিক এক দলের ওপর ঘটেছে। ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর নেতা হাফিজ হামদুল্লাহকে নিয়ে কোয়েটা থেকে কালাতে যাওয়ার পথে এই বিস্ফোরণ ঘটে। দলটির এই নেতাসহ আহত হন ১১ জন।

হামলাটি আত্মঘাতী ছিলো কিনা, এ বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তানের জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার প্রতিবেদন বলা হয়েছে, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা গেছে রক্তাক্ত হামদুল্লাহ কথা বলার সময় তার পাশে দুইজন বন্দুকধারী দাঁড়িয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন -  Explosive Tweets: বিস্ফোরক ট্যুইট তথাগতের

মাস্তুংয়ের সহকারী কমিশনার আতাউল্লাহ মেমন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন আহত হয়েছে। চিকিৎসার জন্য কোয়েটায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই এই রাজনৈতিক নেতা।

এ বিস্ফোরণে কেউই গুরুতর আহত হয়নি। এই মুহূর্তে কোনো গুরুতর সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে জিও টিভি।

আরও পড়ুন -  Canada Knife Attack: সন্দেহভাজনের মৃত্যু গ্রেপ্তারের পর, কানাডায় ছুরি হামলা

পুলিশ জানায়, হামদুল্লাহ ও অন্যরা কোয়েটা থেকে কালাতে যাচ্ছিলেন। তারা মাস্তুং অতিক্রম করার পরে এই ঘটনাটি ঘটে। এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ নাকি পরিকল্পিত বোমা হামলা তা আমরা এখনও জানি না।

বেলুচিস্তানের অন্তর্বর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুবায়ের জামালি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আহতদের সাহায্য করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, সাথে তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।

আরও পড়ুন -  সবচেয়ে কাছের মানুষকে হারালেন ঋদ্ধিমা, জন্মদাত্রী মাকে !

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী এবং সহায়তাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।বিস্ফোরণের পর এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।