‘টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস-2023’-এর মরণোত্তর কৃতী সম্মান প্রদান করা হয়েছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)-কে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঐন্দ্রিলার মা-বাবা এবং তাঁর ভালোবাসার মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)।
ঐন্দ্রিলার অবর্তমানেও সব্যসাচীর সাথে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক যথেষ্ট সুন্দর আছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঐন্দ্রিলার মা-বাবার হাতে তুলে দেন মরণোত্তর কৃতী সম্মান। সেই সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে ঐন্দ্রিলার বিভিন্ন মুহূর্তের স্লাইড শো আবারও যেন তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিল সকলের সামনে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে মরণোত্তর কৃতী সম্মান নিয়ে কাঁদলেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা (Shikha Sharma)।
View this post on Instagram
সব্যসাচীর মতে, এই সম্মান কোনো মা-বাবার কাছে একই সাথে গর্বের এবং কষ্টের। একই কথা শোনা গেল শিখা দেবীর কন্ঠেও। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি জানালেন, মরণোত্তর সম্মান পাওয়ার বয়স ছিল না ঐন্দ্রিলার। পুরস্কার নিয়ে একটুও ভালো লাগেনি তাঁর। এই ধরনের সম্মান তো ঐন্দ্রিলার বয়সকালে মঞ্চে উঠে তাঁর সন্তানদের গ্রহণ করার কথা ছিল। অন্তর ভেঙে যাচ্ছে কষ্টে। শিখা দেবী জানেন না, এই কষ্ট কবে কমবে আর কিভাবেই বা কমবে! মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতা তাঁকে মুগ্ধ করেছে বলে জানালেন শিখা দেবী। পুরস্কার নিয়েই এদিন বহরমপুরের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন।
আগে সব্যসাচীর সাথে রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরেছেন তাঁরা। গত বছর একটি চ্যানেলের মহালয়ার অনুষ্ঠানে দেবী মাতঙ্গীর রূপে নজর কেড়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তারপর দীপাবলির পরেই ঘটল ছন্দপতন। হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। হাওড়ার একটি বেসরকারী হাসপাতালে উনিশ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইউয়িং সারকোমা নামক বিরল প্রজাতির ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন ঐন্দ্রিলা। টানা সাত বছর লড়াইয়ের পরও ক্যান্সারের কোষ ছড়িয়ে পড়েছিল মস্তিষ্কে। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা।