পোস্ট অফিস বিনিয়োগের সব থেকে ভালো জায়গা। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস একাউন্ট পোস্ট অফিসের ভালো প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দিতে পারে। একজন প্রবীণ নাগরিক হন, আপনার টাকা আপনি কোথাও বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনি সহজেই বিনিয়োগ করতে পারেন।
টাকা সুরক্ষিতভাবে রাখতেও পারেন। পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের অধীনে মাত্র ১ হাজার টাকা দিয়ে একটি একাউন্ট খুলতে পারেন। এই প্রকল্পে সর্বাধিক ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।
এই প্রকল্পে ৮.২ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ পেয়ে যাবেন। পাঁচ বছরের স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে ৭.৫০ শতাংশ সুদ দেওয়া হয় এসবিআই ফিক্স ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে। দেখতে গেলে এসবিআই এর ফিক্স ডিপোজিটের থেকে অনেক বেশি সুদ পাবেন, পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস একাউন্টে।
সব ব্যাংকের মেয়াদ পূর্তির মেয়াদ মোটামুটি পাঁচ বছর। এই অ্যাকাউন্টেও আপনি পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে পাঁচ বছরের আগেও একাউন্ট বন্ধ করতে পারেন। এটা করার জন্য কিন্তু জরিমানা দিতে হবে। সাথে পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সবথেকে বড় বিষয়টা হলো এর অধীনে আয়কর আইন অনুযায়ী ছাড় পাবেন।
আয়কর আইনের 80C ধারা অনুযায়ী আপনি ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু হ্যাঁ আপনাকে সুদের উপরে কিন্তু কর দিতে হবে।
জানিয়ে রাখি, এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি তিন মাস অন্তর সুদ পাবেন। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের একাউন্ট যে কোন পোস্ট অফিসে খুলতে পারেন। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের পরে আপনি এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ৫৫ বছরের বেশি কিন্তু ৬০ বছরের কম বয়সী ভিআরএস গ্রহণকারীরা এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভলেন্টিয়ার রিটায়ার্মেন্টের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। ৬০ বছরের কম বয়সী প্রতিরক্ষা অবসরপ্রাপ্তরাও এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এই প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে পাঁচ বছর পরে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭১ টাকা পেয়ে যাবেন।