চাঁদের মাটিতে ভালোভাবে অবতরণ চন্দ্রযান ৩-এর। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবেই ভারত সাফল্য অর্জন। প্রায় ইসরোর ১৬,৫০০ বিজ্ঞানীর ৪ বছরের চেষ্টা দারুন ভাবে সফল হয়েছে।
এখন চাঁদ ভারতের নখদর্পণে। চাঁদের বুকে উঠছে ভারতের পতাকা। এই আগস্ট মাসেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। সেই স্বাধীনতার মাসেই চাঁদে নিজের পসার জমাল ভারত।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রম ল্যান্ডারের সফল অবতরণের পিছনে রয়েছে বহু বিজ্ঞানীর বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম। বুধবার ২৩-শে আগস্ট ১৬,৫০০ বিজ্ঞানীর কঠোর পরিশ্রম পূর্ণতা পেয়েছে। ঈশ্বরের কাছে ১৪০ কোটি মানুষের প্রার্থনাও সফল। উল্লেখ্য, এই জায়গার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের -২০০°-র নীচে।
• চাঁদ থেকে ২৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকেই চাঁদে অবতরণের যাত্রা শুরু করেছিল চন্দ্রযান ৩।
• ২৫ কিলোমিটার থেকে ৭.৪ কিলোমিটারে পৌঁছাতে দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে ১১.৫ মিনিট লেগেছিল বিক্রম ল্যান্ডারের।
• চাঁদ থেকে ৭.৪ কিলোমিটার উচ্চতায় বিক্রম ল্যান্ডারের প্রতি সেকেন্ডে গতি ছিল ৩৫৮ মিটার।
• ৬.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় এসে চন্দ্রযান ৩-এর প্রতি সেকেন্ডে গতি ছিল ৩৩৬ মিটার।
• পরবর্তীস্তর ৮০০ মিটার উচ্চতায় এসে লেজার রশ্মির সহায়তায় চাঁদের উপর অবতরণের জায়গা খুঁজে পেতে শুরু করেছিল এই চন্দ্রযান ৩।
• ধীরে গতি কমাতে কমাতে চাঁদে অবতরণের সময় বিক্রম ল্যান্ডারের প্রতি সেকেন্ডে গতি ছিল ১.৬৮ মিটার।
চন্দ্রযান ৩-এর চারটি পেলোডের কাজঃ
রম্ভা- এটি চাঁদে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি তদন্ত করবে। করে দেখবে।
চাএসটিই- এটি চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা নির্ধারণ করে দেখবে।
আইএলএসএ- এটি ল্যান্ডিং সার্ফেসের চারপাশের ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করবে।
লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারি- চাঁদের গতিশীলতাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে।
ছবিঃ সংগৃহীত।