বহু বছর ধরেই বলিউডে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। ‘দিলবার দিলবার’ গানের সাফল্যে বদলে যায় নোরার জীবন। কিন্তু নোরার শুরুটা হয়েছিল ‘রোয়ার: দ্য টাইগ্রেস অফ সুন্দরবন’ ছবি দিয়ে।
প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি মানি লন্ডারিং এবং চাঁদাবাজি মামলায় আজও ফেঁসে রয়েছেন দুই বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি এবং জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। জ্যাকুলিনের পরেই নোরার নামটি প্রকাশ্যে আসে।
আর্থিক জালিয়াতির অপরাধে ২০১৯ সাল থেকে জেল হেফাজতে সুকেশ। জ্যাকুলিনকে গার্লফ্রেন্ড বলে দাবি করেছিলেন।বিশ্বের একাধিক দামি উপহার প্রেমিকা হিসেবে তাকে দিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল দামি ব্যাগ, বিড়াল, ঘোড়া, বাড়ি এবং গাড়ি। যদিও সুকেশের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার বিষয়টি ইডির কাছে স্বীকার করলেও তাকে কখনও প্রেমিক বলে স্বীকৃতি দেননি অভিনেত্রী।
সুকেশের কাছ থেকে নোরাও দামি দামি উপহার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার কথায়, তিনি উপহারগুলো কোনো একটি ইভেন্ট থেকে পেয়েছেন। সোমবার ফের দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে পৌঁছেছেন বলিউডের এই ডান্সিং কুইন।
নোরা নিজেই দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখায় পৌঁছেছিলেন, এই বিষয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, নোরা আজ একপ্রকার তাড়াহুড়া করেই হাজির হয়েছেন দিল্লির আদালতে। এ দিন কালো পোশাকে নোরার দেখা মিলল। সঙ্গে আরও কয়েকজনকে দেখা গেছে।
আগে নোরাকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি। সেই সময় নোরা নিজেই জানিয়েছিলেন, সুকেশ চন্দ্রশেখর তার শ্যালক ববিকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়েই নোরাকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেওয়া হয়।
অভিনেত্রীর মতে, চেন্নাইয়ে নির্মিত একটি স্টুডিওতে সুকেশ চন্দ্রশেখরের স্ত্রীর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তখনই সুকেশ তার বদলে নোরাকে বিএমডব্লিউএর মতো একটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়ে ছিলেন। অভিনেত্রীর মতে, তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সুকেশের সঙ্গে কথা বলতেন। পরে নোরাকে সুকেশ বারবার ফোন করে হয়রানি করার পরে তিনি সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
সুকেশ চন্দ্রশেখর বর্তমানে ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলার অভিযোগে দিল্লি জেলে বন্দী। বলিউড অভিনেত্রীদের দামি উপহার এবং বিলাসবহুল সামগ্রী দিতেন সুকেশ। সুকেশের বিরুদ্ধে আরও প্রতারণার অভিযোগ আছে।
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া। ছবিঃ সংগৃহীত