এপ্রিল-এ তীব্র গরমে পুড়েছিল সারাবাংলা। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা কোথাও ছুঁয়ে গিয়েছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে।ফলস্বরূপ রাজ্যবাসীর জীবন কার্যত নাকাল হয়েছিলো।মাসখানেক আগেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ হয়েছে। তারপর আবার শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। এবার কিন্তু আগামী সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাত দেখতে পাবে বাংলা, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
জানা গেছে, এক ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, রবিবার বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা আছে। সেটি মনে করা হচ্ছে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছে। কতটা প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। ওড়িশায় বৃষ্টি হবে নাকি দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি হবে, সেটা রবিবার বোঝা যাবে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা এবং তার আশপাশের গাঙ্গেয় এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি সহ বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা আছে। আজ শহরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ এবং ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে।
কলকাতায় আজ আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৮ শতাংশ।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অন্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী ১৮ জুলাই থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা গেছে হাওয়া অফিস সূত্রে। অস্বস্তিকর গরম সহ্য করতে হবে কয়েকটি জলের বাসিন্দাদের আর কিছুদিন।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া বৃষ্টির জন্য প্রতিকূল হলেও উত্তরবঙ্গে এখনো চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। আজ তেমনটাই জারি থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।অন্যান্য জেলা যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদাতে রয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।