বাংলায় প্রবেশ হয়েছে বর্ষা জুনেই। ইচ্ছা মতন জেলায় জেলায় বদল হচ্ছে আবহাওয়া। ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। হাওয়া অফিস বলছে, এবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বর্ষা ঢুকে পড়বে।জেলায় জেলায় বৃষ্টির মেঘ জমতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও হচ্ছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত।
নাভিশ্বাস গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে বঙ্গবাসী। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়েই মোটামুটি স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া একই আছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত হতে চলেছে উত্তর ভারত পর্যন্ত।আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গেও মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হলেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় এবং উপকূলীয় জেলায় আগামী কয়েকদিন বজায় থাকতে চলেছে স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া।
সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রার বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ কলকাতার বিক্ষিপ্ত অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। শহরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান থাকতে পারে ৮৪ শতাংশ এবং ৬৪ শতাংশের মধ্যে।
উত্তরবঙ্গে বর্ষা হলেও এখনো সেই একইভাবে বৃষ্টির থেকে উপেক্ষিত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। আজকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির অভাব থাকলেও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলছে। আজও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।এই তিন জেলায় অতিপ্রবল বৃষ্টি হতে পারে। কালিম্পং, কোচবিহার সাথে উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।