খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় আবাসন ও শহরাঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন, পরিবেশ-বান্ধব, সুসংবদ্ধ, স্বয়ংক্রিয় এবং চাহিদা অনুযায়ী ব্যক্তি-কেন্দ্রিক যাতায়াতের গতির বিষয়টি আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। নতুন প্রযুক্তি যেমন ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বড় ও মাঝারি মানের শহরগুলিতে মোটরগাড়ির যাতায়াতে গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। শ্রী পুরী আজ এখানে শহরাঞ্চলে দ্রূত যাতায়াতের প্রবণতা শীর্ষক ত্রয়োদশ আর্বান মোবিলিটি ইন্ডিয়া সম্মেলনের সূচনা করে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সম্মেলনে ফ্রান্সের ইকলোজিকাল ট্রানজিশন বিষয়ক মন্ত্রী মিঃ জোঁ বাপ্টিস্ট জাবারি, মন্ত্রকের সচিব শ্রী দুর্গাশঙ্কর মিশ্র, মেসার্স গেহল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা অধ্যাপক জান গেহল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে শ্রী পুরী বলেন, চলতি কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে ভারতে শহরাঞ্চলীয় গতিশীলতায় এক আচার-আচরণগত পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের উদ্দেশ্য পূরণে শহরাঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থায় গতি আনতে সুযোগ এনে দিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে কোভিড চ্যালেঞ্জ পরিস্থিতিকে সুযোগে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে, শহরাঞ্চলে পরিবহণে গতি এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি, আর্থিক ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব ফেলবে।
ভারতে খুব শীঘ্রই নতুন প্রজন্মের গতিশীল পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে, যা শহরাঞ্চলীয় যাতায়াতে গতি আনতে পর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এক পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, শহরাঞ্চলে নিত্য যাত্রীদের ১৬-৫৭ শতাংশই পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন এবং শহর এলাকার আয়তনের ওপর নির্ভর করে ৩০-৪০ শতাংশ সড়ক ব্যবহারকারী সাইকেল ব্যবহার করেন। সুতরাং, এই সুযোগকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এর ফলে, পথচারী এবং সাইকেল আরোহী উভয়েই লাভবান হবেন। তিনি অবশ্য শহরাঞ্চলে গতিশীল যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষের ভাড়া হিসাবে খরচ করার আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখার কথা বলেন। সম্মেলনে কোভিড-১৯ এর সময় শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ ব্যবস্থায় উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। সূত্র – পিআইবি।