South Korea: কোরিয়ানদের বয়স কমে গেল রাতের মধ্যে, আইনে পরিবর্তন

Published By: Khabar India Online | Published On:

দক্ষিণ কোরিয়া সাধারণ জনগণের ‘বয়স গণনা পদ্ধতিতে’ পরিবর্তন আনলেন। এ পরিবর্তনের কারণে ৫ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার বয়স এক রাতের মধ্যে এক বা দুই বছর পর্যন্ত কমে গেলো। বুধবার কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বয়স গণনার ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বে একটি সাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কোরীয়রা এক্ষেত্রে নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করত। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে এখন বৈশ্বিক পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।পুরো বিশ্বে বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেটিতে যেদিন একটি শিশু জন্ম নেয়, সেদিন থেকে পরবর্তী বছরের একই দিনে এক বছর বয়স হয়েছে বলে ধরা হয়।কোরীয় পদ্ধতিতে, জন্মের পরপরই ওই শিশুকে এক বছর বয়সী শিশু হিসেবে ধরা হয়। প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি ওই বছরের সঙ্গে নতুন করে এক বছর যুক্ত হয়।

আরও পড়ুন -  শ্রীদেবী, তাঁর দুই মেয়েকে অন্তর্বাস পরতে মানা করতেন কেন? অভিনেত্রীর এই যুক্তি ছিল!

বয়স নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ‘ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে যখন একটি শিশুর জন্ম হয়, সেদিনকে আন্তর্জাতিক পদ্ধতির মতোই শূন্য দিন হিসেবে ধরা হয়। যখন শিশুর জন্মের পর প্রথম ১ জানুয়ারি আসে, সেদিন তার বয়সের সঙ্গে ১ বছর যুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন -  গরম ভাতের সাথে, বাঁধাকপির ভর্তা

কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, বুধবার থেকেই নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে বিচারিক এবং প্রশাসনিক সবক্ষেত্রে কোরীয়দের বয়স আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ধরা হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে বয়স নির্ণয় পদ্ধতি আইনে পরিবর্তন আনা হয়।
বয়স নির্ণয়ের এই পদ্ধতির কারণে খোদ কোরীয়দের মধ্যেই বিভ্রান্তি কাজ করে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কার্যকর করা নতুন পদ্ধতি এসব বিভ্রান্তি দূর হবে। কোরিয়ায় যেসব বয়স্ক মানুষ রয়েছেন তাদের মধ্যে মূলত এই বিভ্রান্তিটা বেশি। কারণ কোরীয় পদ্ধতিতে গণনার কারণে তারা অনেকে মনে করেন, বিনামূলে ভ্রমণ এবং সরকারি পেনসনসহ যেসব সুবিধা রয়েছে, সেগুলো পাওয়ার মতো বয়স তাদের হয়ে গেছে। বাস্তবে তাদের সেই বয়স হয় না।

আরও পড়ুন -  "গরমে স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য প্রয়োজনীয় লাইফস্টাইল পরিবর্তন"

স্কুল, সামরিক বাহিনীতে যোগদান এবং মদ পানের যে বৈধ বয়স রয়েছে, সেটি নির্ণয় করা হয় ‘ইয়ার এজ’ পদ্ধতিতে। এসব ক্ষেত্রে ‘ইয়ার এজ’ পদ্ধতিই বহাল রইলো। রাতারাতি বয়স কমে যাওয়ায় বেশ খুশি কোরীয় তরুণ-তরুণীরা।

ছবিঃ সংগৃহীত