ওয়াগনারের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক হেলিকপ্টার। মস্কো অভিমুখী ভাড়াটে বাহিনী। ওয়াগনার সেনারা যেন মস্কোতে পৌঁছাতে না পারেন, সেজন্য তাদের সেনা বহরে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে। শনিবার রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের পরপরই এ হামলা চালানো হয়।
শুক্রবার রাতে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার রোস্তোভ প্রদেশে প্রবেশ করেন ওয়াগনার সেনারা। পুরো বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন প্রিগোজিন নিজে। প্রথমে তারা রোস্তোভের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখল করেন। এরপর মস্কোর দিকে যেতে শুরু করেন। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনী যে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন সেটি রোস্তোভের এই সদর দপ্তর থেকেই পরিচালনা করা হতো।
রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানিয়েছে, ওয়াগনার বাহিনীর বহরটি প্রথমে রোস্তোভ থেকে ভোরোনেজে আসে। তারপর সেখান থেকে মস্কোর দিকে আসতে থাকে। ঠিক তখনই হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। ওই বহরটিতে সাঁজোয়া যান ও অন্তত একটি ট্যাংক ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ট্যাংকটি একটি ট্রাকের ওপর ছিল। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এদিকে ওয়াগনার সেনারা যেন কোনোভাবেই মস্কোতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মস্কোর বিখ্যাত রেড স্কয়ারে লোহার ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে শনিবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি প্রিগোজিন এবং তার বাহিনীকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেন ও বিদ্রোহ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
প্রিগোজিন পরবর্তীতে এক অডিও বার্তায় জানান, বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে পুতিনের ভুল ধারণা রয়েছে। তিনি দাবি করেন, তিনি এবং তার বাহিনী বিশ্বাসঘাতক নয়, তারা দেশপ্রেমিক। এছাড়া রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না বলেও জানিয়েছে।
সূত্রঃ রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত