দেশের জন্য এবার অন্য এক আতঙ্ক হল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে আসন্ন বিষয়টি এখন ভাবাচ্ছে সকলকে। আগে ঘূর্ণিঝড়ের যা ভয়াল রূপ দেখেছে দেশবাসী, তাতে সাইক্লোনের নাম শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে। মৌসম ভবনের অনুমান, এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তেমন চিন্তার কারণ নেই দেশবাসীর। তার কারণ এই ঝড় ভিনদেশে ল্যান্ডফল হতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর ও পূর্ব মধ্য আরব সাগরেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ। বিপর্যয় কতটা ধ্বংসলীলা তৈরি করবে, কোন উপকূলে শেষ পর্যন্ত আছড়ে পড়বে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদেরা। আপাতত, এই ঘূর্ণিঝড় ভারতবর্ষের উপকূল গোয়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে আছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের মৌসম ভবন। গুজরাট উপকূলের দিকে এটি ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যায় সেদিকে নজর থাকবে আবহাওয়াবিদদের। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামিকাল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় অবস্থান করবে দক্ষিণ আরব সাগর ও পশ্চিম মধ্য আরব সাগরে। শুক্র এবং শনিবার এটি মূলত দক্ষিণ আরব সাগরে অবস্থান করবে, রবিবার এটি আরও এগিয়ে আরও উত্তরে গিয়ে মধ্য ও উত্তর আরব সাগরে অবস্থান করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন মডেল জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গুজরাট উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে আবার বাঁক নিয়ে ওমান উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় আদৌ কোনও উপকূলে আছড়ে পড়বে কি না, তা নিশ্চিত বিশ্বের আবহাওয়া মডেলের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে শেষ পর্যন্ত ওমান উপকূলের কাছাকাছি এটি সমুদ্রে মিলিয়ে যেতে পারে। আপাতত, গুজরাট উপকূল পর্যন্ত নজর থাকবে ভারতের মৌসম ভবন সহ আবহাওয়াবিদদের। সেই সময় এর গতিবেগ সমুদ্রে ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতীকী ছবি