ভারতীয় কৃষি ক্ষেত্রকে সুস্থায়ী এবং লাভজনক করে তোলার জন্য বহুমুখী প্রচেষ্টার আহ্বান উপরাষ্ট্রপতির

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ উপরাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ ভারতের কৃষি ক্ষেত্রকে সুস্থায়ী ও লাভজনক করে তোলার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী এবং অভ্যাসের পরিবর্তন করতে পারলে কম উৎপাদন যুক্ত অঞ্চলে আরও বেশি কৃষি পণ্য উৎপাদন সম্ভবপর হবে।

রাঙ্গা ট্রাস্ট আয়োজিত আচার্য এন জি রাঙ্গার ১২০ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপনের সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। শ্রী নাইডু বলেন, আচার্য এন জি রাঙ্গা একজন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, কৃষক নেতা, সমাজ সংস্কারক এবং একজন অসামান্য সাংসদ ছিলেন। তাঁকে একজন প্রকৃত ভূমিপুত্র হিসেবে বর্ণনা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের কৃষি আন্দোলনের জনক স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী-র সঙ্গে এন জি রাঙ্গা একজন পরিচিত মুখ। তিনি আরও বলেন, দেশের সমস্ত কৃষকের আয়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে আচার্য এন জি রাঙ্গা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

আরও পড়ুন -  ছেলেকে নানিদের কাছে রেখেই বিগ বসে! সলমনের শো নিয়ে নুসরতের বড় আপডেট

আচার্য রাঙ্গার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা স্মরণ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি আচার্য এন জি রাঙ্গার জীবন ও দর্শনের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আচার্য রাঙ্গা যখন সংসদে বক্তব্য রাখতেন সকলেই তা মনোযোগ সহকারে শুনতেন। শ্রী নাইডু বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে বিতর্কের মান নিচে নেমে যেতে দেখে চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে খুব পীড়া দেয়। তিনি আচার্য রাঙ্গার জীবন ও শিক্ষা অধ্যায়ন করার জন্য সকল সংসদের কাছে আহ্বান জানান। শ্রী নাইডু বলেন, সংসদের বিতর্ক সবসময় গঠনমূলক হওয়া উচিত।

উপরাষ্ট্রপতি বলেন, আচার্য রাঙ্গা সংসদে কৃষকদের বিষয়ে সবসময় সোচ্চার হয়েছেন। কৃষকরা যাতে তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল পান তা সুনিশ্চিত করতে বার বার জোর দিয়েছেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি কৃষিক্ষেত্রে প্রথাগত জ্ঞান এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে কার্যকরী সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানান। কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যেভাবে কৃষিকাজ পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটছে তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজন। জাপানের মতো দেশগুলিতে কৃষিক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের দেশেও এই ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন। মহামারী অবস্থায় কৃষকরা যেভাবে কাজ করে চলেছেন তারজন্য উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ব্যক্ত করেন তিনি। কোভিড-১৯ আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে এবং এই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছে।

আরও পড়ুন -  Bollywood Actress’s Look: দুর্গাপূজোয় বলি অভিনেত্রীদের চোখ ধাঁধানো কিছুঝলক

তিনি বলেন বিগত কয়েক দশকে প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি জলের ঘাটতি, কৃষিকাজে যুক্ত শ্রমিকের অভাব, সময়োপযোগী ও মান সম্পন্ন উপকরণের অভাব, যান্ত্রিক সমস্যা, হিমঘরের অভাব ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কৃষকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এরফলে কৃষকরা তাদের নির্ধারিত কৃষি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। তবে কৃষকদের ক্ষমতায়ণের জন্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান। কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সরকার সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন উপরাষ্ট্রপতি। শস্য ও ডাল চাষ ছাড়াও কৃষকদের বাণিজ্যিক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ওপর নির্ভরতা হ্রাসের আহ্বান জানান উপরাষ্ট্রপতি। এক্ষেত্রে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কৃষকদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন গবেষণার বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন -  বর্ষার প্রকৃতির শোভা মনোহরা

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাবার্ডের চেয়ারম্যান শ্রী জি আর চিন্তলা, এনএএআরএম-এর অধিকতা ডঃ চেরুকুমাল্লি শ্রীনিবাস রাও সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সূত্র – পিআইবি।