পিটিআই দলের ৬০০ নেতাকর্মীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিসহ। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিওনিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ৯ মে’র ঘটনার জন্য পিটিআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। মন্ত্রীর এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই ইমরান এবং তার দলের নেতাকর্মীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খবর গণমাধ্যমে আসে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিশেষ সহকারী আতাউল্লাহ বলেন, ‘পিটিআই নেতাদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন আসাদ উমর, মালেকা বোখারি, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, মুরাদ সাঈদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমনি রশিদ এবং আসলাম ইকবাল।’
তিনি বলেন, ‘ইমরান খান এবং বুশরা বিবিসহ এই নেতাদের নো ফ্লাই তালিকা এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ শাহবাজ শরিফের এই বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘পিটিআই নেতাদের এই তালিকা দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার সব পয়েন্ট এবং বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।’
আগে পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন জানায়, পুলিশ বিভাগ প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির তিন প্রাক্তন সদস্যসহ ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম ফেডারেল সরকারের কাছে প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন লিস্টে (পিএনআইএল) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠিয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
অপরদিকে, রাওয়ালপিন্ডি জেলা পুলিশ তাদের ওয়ান্টেড তালিকায় প্রায় ৩১৯ জনের নাম দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) লাহোর পুলিশ ৭৪৬ পিটিআই নেতার বিদেশ ভ্রমণে এক মাসের জন্য নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের অনুরোধে তা বাড়িয়ে ৯৯১ করা হয়। পিটিআইয়ের আরও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আসতে চলেছে।
৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিবাদে তার সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় সেনাবাহিনীর নানা স্থাপনায়।
সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সামরিক আইনে বিচার করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা সামরিক বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। সামরিক বিচার এড়াতেই পিটিআই নেতারা দলত্যাগ করছেন বলে ধারণা।
সূত্রঃ জিওনিউজ, ডন। ছবিঃ সংগৃহীত