মাস্কের নিউরালিংক, মানব মস্তিষ্কে চিপ ঢোকানোর অনুমতি পেল

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ব্রেইন-ইমপ্লান্ট কোম্পানি নিউরালিংক মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিক্যাল স্টাডি শুরুর সবুজ সংকেতও পেল সংস্থাটি।

ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও গতিশীলতা আনতে সহায়তা করতে ইচ্ছুক।

রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের গোড়ার দিকে নিউরালিংক সংস্থাটি এফডিএ’র অনুমোদন চেয়েছিল। সে সময় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলো।

আরও পড়ুন -  সুস্মিতা সেন এর মানবিক রূপ দেখতে পেলাম, দিল্লির হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করলেন

নিউরালিংক আশা করছে, প্যারালাইসিস এবং অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার এবং মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হবে।

নিউরালিংক ঘোষণা করেছে, ‘এ খাতে এমনটা প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। আমরা উচ্ছ্বসিত যে, আমরা প্রথমবার মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের (ইমপ্ল্যান্ট) বিষয়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য এফডিএ’র অনুমতি পেলাম। এটি মূলত নিউরালিংকের সঙ্গে এফডিএ’র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ফলাফল।’

আরও পড়ুন -  Web Series: ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের বিনোদন, গোপনে উপভোগ করার জন্য এই ওয়েব সিরিজ

বিবিসি বলছে, পক্ষাঘাত এবং অন্ধত্বের মতো শারীরিক সীমাবদ্ধতার চিকিৎসা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার এবং মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তার উদ্দেশ্যে এসব মাইক্রোচিপ ব্যবহারের লক্ষ্য স্থির করেছে নিউরালিংক। আগে বানরের ওপর পরীক্ষা চালানো এসব চিপ এমনভাবে নকশা করা, যাতে এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে উৎপাদিত বিভিন্ন সংকেত ব্যাখ্যা করতে পারার পাশাপাশি ব্লুটুথের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইসে সেই সব তথ্য পাঠানো যায়।

আরও পড়ুন -  IPL: এবি ডি ভিলিয়ার্স আইপিএলে ফিরছেন !

২০১৬ সালে মাস্কের নিউরালিংক প্রতিষ্ঠানটি বারবার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, ২০২০ সালে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ লাগানো শুরু করা। অনুমোদন না পেলে ২০২২ সালে কাজটি শুরু করার অঙ্গীকার করে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই পরিকল্পনা আরও একবার ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু এবার তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমোদন পেয়ে গেলো।

সূত্রঃ রয়টার্স, গার্ডিয়ান, বিবিসি। ছবিঃ সংগৃহীত