গ্রীষ্মের গনগনে দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে গোটা বাংলায় জৈষ্ঠ্যে মাস থেকেই। যেমন প্রখর রোদ, অপরদিকে বাতাসে ৯০ শতাংশের বেশি আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত কারণে গা জ্বালা গরম। অস্বস্তিতে রীতিমতো নাজেহাল দশা বাংলাবাসী। আবার কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা। আবার নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আগের মতন শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহের দাপট।
মাঝে দিন কয়েক হল, গরমের দাপট থাকলেও কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলো বাংলার মানুষ। গত সপ্তাহ থেকেই একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর সঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। আজ সোমবার সকাল থেকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি শুরু। সন্ধে হলেই নামতে পারে বৃষ্টি। কালবৈশাখীর অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কোন কোন জেলায় হতে পারে শান্তির বৃষ্টি?
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার সারাদিন শহর কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় রইবে। শহরের তাপমাত্রা এদিন ৩৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। বিকেলের দিকে আকাশ ঢেকে যাবে কালো মেঘে। সাথে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে শহরে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে, বিকেলের শহর কলকাতা আজ কালবৈশাখীর মুখোমুখি হবে। শহরের কিছু কিছু স্থানে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি।
আজকে দক্ষিণবঙ্গেও দিনভর চরম তাপপ্রবাহ অনুভূত হবে। পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় বিকেলে কালবৈশাখী ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। আজ পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার থেকে আগামী কয়েক দিন পাহাড়ে বৃষ্টি অব্যহত থাকছে। আজ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। একটু ভিজতে পারে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে আগামী ৩ দিন তাপমাত্রা একই অবস্থা থাকবে। এরপর থেকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ নিচের দিকে নামতে পারে।
প্রতীকী ছবি