গ্রীষ্মের দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে গোটা বাংলায় জৈষ্ঠ্যে মাস শুরু হতেই। প্রখর রোদ, বাতাসে ৯৮ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা নিয়ে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল। আবার কোথাও তাপমাত্রা ফের ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু তাপপ্রবাহের চোখ রাঙানি।
দিন কয়েক হল, গরমের দাপট থাকলেও কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছিলো কিছুটা। বৃহস্পতিবার থেকেই একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর সঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। আজ রবিবার সকাল থেকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কিন্তু, সন্ধে হলেই নামতে পারে বৃষ্টি। তৈরি হচ্ছে কালবৈশাখীর অনুকূল পরিস্থিতি, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৭ এবং ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দিনভর অস্বস্তির মাঝেই স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে কালবৈশাখী।
রবিবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
একইসঙ্গে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের কোনও কোনও জায়গায় আগামী ৪৮ ঘন্টায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি ও পরের দুদিনে তাপমাত্রা বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আগামী ৪৮ ঘন্টা ২৩ মে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎসহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও, পরের দুদিনে তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই।
প্রতীকী ছবি