ক্রিমিয়ার প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী সেভেস্তোপোল বন্দরের জ্বালানি ডিপোতে শনিবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলাকে দায়ী করা হয়েছে। ক্রিমিয়ায় মস্কো-স্থাপিত গভর্নর ইউক্রেনকে দোষারোপ করেন।
তিনি বলেন, বড় বিপর্যয় ঘটার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছিল।
ইউক্রেনের একজন সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মজুদ করা প্রায় ৪০ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন তেল পণ্যের ১০টির বেশি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেনে গত ১৪ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় লড়াই হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়ায় পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইউক্রেনের সেনারা। তার আগেই ইউক্রেনে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
ঘটনার দায় স্বীকার না করে আন্দ্রি ইউসভ নামের এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার ইউক্রেইনের একটি শহরে হামলার পাল্টায় সেভাস্তপোলে রুশদের ওপর ‘খোদার গজব’ নাজিল হয়েছে।
এ ধরনের বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অব্যাহত থাকবে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই শাস্তি হবে দীর্ঘস্থায়ী। রাশিয়ার অস্থায়ী দখলে থাকা ক্রিমিয়ার বাসিন্দাদের এখন সামরিক স্থাপনার কাছাকাছি না থাকাই ভালো।
সামরিক অভিযানের পর থেকে রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলে এর জবাব মস্কো দেবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে আইন প্রণেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, কোনো দেশের আরোপিত নিয়ম রাশিয়া মেনে চলবে না। এদিন তিনি সেনাবাহিনীর কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনৎসেভকে রসদবিষয়ক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন বলে জানায় মস্কো।
অপরদিকে, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনসহ যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক এবং সামরিক সহায়তার সঠিক সংখ্যা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে পেন্টাগনকে জানাতে হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। সূত্র: আল জাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত