পরিবর্তনটা আসছে আইপিএলের ২০২৩ আসরে। যোগ হচ্ছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর ধারণা। ক্রিকেট দুনিয়াকে নতুন আইডিয়াটা পরিচয় করিয়ে দিতে মাঠের আম্পায়ারদের হাত তুলতে দেখা যাবে। তাতেও থাকবে নতুনত্ব। দুই হাত উঁচিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের জন্য দেবেন ক্রস সিগন্যাল। বিসিসিআইয়ের ভাবনা, এতে খেলায় আসবে আরও গতিশীলতা।
আইপিএলে নতুন নিয়ম যোগ হচ্ছে
টসের পরে একাদশ
টসের আগেই একাদশ বিনিময় করতে হয়। আইপিএলে এই নিয়মটা বদলে যাবে। টসের পরে চাইলে যেকোনো দল তাদের একাদশে পরিবর্তন আনতে পারবে। দল আগে ফিল্ডিং না ব্যাটিং করছে তার ওপর ভিত্তি করে টসের পর সেরা একাদশ বাছাই করতে পারবেন। টসের সময় প্রতিটি দলের ক্যাপ্টেনের হাতে দুটি শিটে দুটি আলাদা একাদশ থাকবে। শুরুতে ব্যাটিং করার জন্য প্রথম শিটে সেরা একাদশের সঙ্গে থাকবে পাঁচজন বদলি ক্রিকেটারের নাম।
শুরুতে বোলিং করার জন্য দ্বিতীয় শিটে আলাদা সেরা একাদশের সঙ্গে পাঁচজন বদলি ক্রিকেটারের নাম থাকবে। টসের ফলের ওপর নির্ভর করে অধিনায়করা টিমশিট বিনিময় করবেন। নিয়মটা অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা এসএ-২০ টুর্নামেন্টে আগেই চালু করছে।
নো বল-ওয়াইডে রিভিউ
আইপিএলের ডিআরএসের পরিধিটা আরও বেড়ে যাচ্ছে। নো বল বা ওয়াইডের সিদ্ধান্তেও রিভিউ নেয়া যাবে। নো বল এবং ওয়াইড নিয়ে অন ফিল্ড আম্পায়ারের যেকোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ক্রিকেটাররা রিভিউ করতে পারবেন।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রুলস
টস হলেই একাদশের সঙ্গে পাঁচজন বদলি ক্রিকেটারের নাম আগেই দিয়ে দেবেন অধিনায়করা। বদলি খেলোয়াড়ের তালিকা থেকে একজন ক্রিকেটারকে মাঠে নামাতে পারবে যেকোনো দল। প্রতি ম্যাচে প্রতিটি দল একজনের বেশি ক্রিকেটার বদলি করতে পারবে না। বদলি ক্রিকেটার মাঠে নামবেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে। এটা বাধ্যতামূলক নয়। যেকোনো দল চাইলে একজন ক্রিকেটার খেলার মাঝে যেকোনো সময়ে পাল্টাতে পারবে। যদি প্রয়োজন মনে করে। কোনো দলের প্রয়োজন না হলে তারা একাদশে কোনো বদল আনবে না। আগের একাদশ নিয়েই খেলবে পুরো ম্যাচ।
যাকে মাঠ থেকে তুলে নেয়া হবে সেই খেলোয়াড় ওই ম্যাচের বাকি অংশে আর খেলতে পারবেন না। বদলি ফিল্ডার হিসেবেও মাঠে নামতে পারবেন না। বিসিসিআই বিষয়টি পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিয়েছে। ফিল্ডিংয়ের সময় কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে তার বদলে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার নামাতে পারবে। সেটা হলে ইনজুরিতে পড়া ক্রিকেটার আর মাঠে নামতে পারবেন না।
প্লেয়িং একাদশে চারজন বিদেশি ক্রিকেটার থাকলে তখন কেবল একজন ভারতীয় ক্রিকেটারকেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে বদলি করা যাবে। একাদশে চারজনের কম বিদেশি ক্রিকেটার থাকলে বদলি হিসেবে একজন বিদেশি ক্রিকেটার নামানো যাবে। পাঁচজন বদলি ক্রিকেটারের তালিকায় মাত্র একজন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম রাখতে পারবে। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে বিদেশি ক্রিকেটারকে নামানো হলে কোনো অবস্থাতেই পঞ্চম বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামা যাবে না।
ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নামানোর সিদ্ধান্ত নেবেন কেবল অধিনায়ক। তিনি মাঠের আম্পায়ার বা চতুর্থ আম্পায়ারকে জানাবেন বিষয়টি। সেটা হতে পারে উইকেট পতনের পর বা ওভারের মাঝে কোনো ব্যাটার ক্রিজ ছাড়লে বা ওভার শেষে বা ইনিংস শুরুর আগে বা ইনিংস ব্রেকের সময়ে। ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার মাঠে নেমে ব্যাট করতে পারবেন। পারবেন বোলিং করতেও। সময় ও ওভার থাকলে নিরবচ্ছিন্ন ইনিংসে এমনকি কোটার চার ওভার বলও করতে পারবেন। উইকেট পতনের পর বোলিং টিমও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিতে পারবে একাদশে। কোনো ওভারের মাঝে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মাঠে নামলে ওই ওভারের বাকি বলগুলো তিনি করতে পারবেন না।