Gordon Moore: গর্ডন মুর প্রয়াত, ইন্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা

Published By: Khabar India Online | Published On:

মাইক্রোপ্রসেসর শিল্পের পথিকৃৎ এবং ইন্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুর প্রয়াত। শুক্রবার ৯৪ বছর বয়সে চলে গেলেন।

ইন্টেল করপোরেশন ও মুরের পরিবার তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মুরের মৃত্যুর সময় পরিবারের সব সদস্যই তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী প্যাট গেলসিঞ্জার বলেছেন, তিনি ট্রানজিস্টারের শক্তি প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও কয়েক দশক ধরে প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করেন।

আরও পড়ুন -  Chicken Price: ইলিশের সাথে দাম কমছে চিকেনের, দুপুরের খাবার জমে যাবে

আধুনিক যুগের প্রযুক্তি পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা পালনকারী গর্ডন মুর গর্ডন মুর ১৯২৯ সালের ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালের জুলাই মাসে রবার্ট নয়েসের সাথে ইন্টেল কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ইন্টেল কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি ইন্টেলের প্রেসিডেন্ট হন।

১৯৬৫ সালে লিখিত এক নিবন্ধে গর্ডন মুর বলেন, প্রযুক্তির উন্নতিকে ধন্যবাদ। ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর মাইক্রোচিপগুওলাতে ট্রানজিস্টরের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Hanging Body: পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ, রহস্যের দানা বেঁধেছে

তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। পরে তা ‘মুরের সূত্র’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

মুর তার নিবন্ধে লেখেন, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলো আমাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে আরও বিস্ময়কর করে তুলবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী তিনি করেছিলেন ব্যক্তিগত কম্পিউটার বিপ্লবের ৪০ বছর আগে।

মুরের প্রবন্ধের পর থেকেই চিপগুলো আরও দক্ষ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। যা অর্ধশতাব্দী ধরে বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করে ও অ্যাপল, গুগল এবং ফেসবুকের মতো সিলিকন ভ্যালির টেক জায়ান্টগুলোর আবির্ভাবের পথ তৈরি হয়।

আরও পড়ুন -  আজ আমরা ঘর বন্দি.., শুধু পুরোনো স্মৃতি চারণ

গর্ডন মুরকে ১৯৯৭ সালে ইন্টেলের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস ঘোষণা করা হয়। ২০০৬ সালে ইন্টেল থেকে অবসর নেন।

সূত্রঃ বিবিসি। ছবিঃ সংগৃহীত