পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিতে বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে। পিয়ংইয়ংকে মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এবং সিউলের ধারাবাহিক যৌথ সামরিক মহড়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে তিনি এ নির্দেশ দেন।
সোমবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ তথ্য অনুযায়ী এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত শনি এবং রবিবার ‘যুদ্ধ প্রতিরোধ ও পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণের সক্ষমতা’ জোরদারে মহড়া চালায় উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্রবাহিনী। একদিন পরই কিম জং উনের পক্ষ থেকে এমন কড়া নির্দেশনা।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন সতর্কবার্তা পাঠাতেই একের পর এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং। কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়ায় ৮০০ মিটার উচ্চতার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। নিজে উপস্থিত থেকে মহড়া পর্যবেক্ষণ করেন কিম।
কিম বলেন, এই মহড়া তার সেনাবাহিনীর যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে। তাৎক্ষণিক ও অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা আছে।
কিমের কথা অনুযায়ী কেসিএনএ আরও জানায়, বর্তমানে পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জরুরি ভিত্তিতে তাদের নিজেদের প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পারমাণবিক বাহিনী তার উচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতির মাধ্যমে শত্রুর বেপরোয়া পদক্ষেপ ও উস্কানিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে দ্বিধা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করবে।
ছবিঃ সংগৃহীত