খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ বর্তমান সময়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়ম না মানাসহ বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা বাড়ছে।
পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা কেন বাড়ছে?
আগের তুলনায় এখন পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা বেড়েছে। মদপান, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, ব্যায়াম ও হাঁটাচলা না করা, খাবারে ভেজাল, কর্মস্থলে বিষাক্ত পদার্থ থাকলে, বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে, আঁটসাঁট আন্ডারওয়ে পরলে।
এ ছাড়া সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে অনেকে অবসাদে ভোগেন। সন্তান উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে সুস্থ স্বাভাবিক ও গতিশীল শুক্রাণুর প্রয়োজন। শুক্রাণুর অভাবেই সন্তান হতে অসুবিধা হয়।
শুক্রাণুর কাউন্ট কেন কমে যায়?
পুরুষের বয়স বেশি হলে তার শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায় ও ৩০ বা ৩৫ বছর বয়সের মতো সন্তান উৎপাদনের সক্ষমতা থাকে না।
অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি থাকলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। ধূমপান, মদ্যপানসহ অন্যান্য নেশা করলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া চোট আঘাত ও কিছু ওষুধ ব্যবহারেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।
কী করবেন
মদপান, ধূমপান ত্যাগ করা ও অতিরিক্ত ওজন থাকলে অবশ্যই কমিয়ে ফেলতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়া ঢিলেঢালা আন্ডারওয়ে পরা ও সঠিক সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পর্যাপ্ত জল পান ও ঠিক সময়ে শৌচাগার যাওয়া দরকার। প্রস্রাব চেপে রাখলে সংক্রমণ এবং তার থেকে শুক্রাণুর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
নারী-পুরুষ সবারই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় চিকিৎসা প্রয়োজন। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে, জটিলতা কম হবে। তথ্য – সংগৃহীত।