রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে বিয়ের উপহার হিসেবে ‘ফ্রগমোর কটেজ’ নামের যে প্রাসাদটি প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মের্কেল পেয়েছিলেন, তার মালিকানা হারিয়েছেন এই দম্পতি। যুক্তরাজ্যে থাকার তাদের আর নিজস্ব কোনো জায়গা থাকল না।
টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, উপহারের সেই প্রাসাদটি হ্যারির ছোটভাই ও ব্রিটেনের রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে দিয়ে দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারির বাবা রাজা তৃতীয় চার্লস।
‘ফ্রগমোর কটেজ’ যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের মালিকানাধীন বেশ পুরনো একটি প্রাসাদ। সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়েছিল।
২০১৮ সালে হ্যারি-মেগানের বিয়ের আগে ২৪ লাখ পাউন্ড ব্যয়ে প্রাসাদটি সংস্কার করা হয়।
হ্যারি এবং মেগান ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবেও পরিচিত। প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী নিয়ে লেখা ‘স্পেয়ার’নামে বইটি প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিন পরই এই দম্পতিকে বাড়িটি খালি করে দিতে বলা হয়েছে।
বইটি জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এটি ১৯৯৮ সালের পর যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া নন-ফিকশন বই হিসেবে রেকর্ড করেছে।
বইটিতে দাবি করা হয়েছে প্রিন্স হ্যারি, তার ভাই প্রিন্স অফ ওয়েলসের দ্বারা শারীরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন , তিনি ও তার ভাই, প্রিন্স অফ ওয়েলস, তাদের বাবাকে অনুরোধ করেছিলেন ক্যামিলাকে বিয়ে না করার জন্য।
প্রসঙ্গত, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান দম্পতি তাদের দুই সন্তান আর্চি ও লিলিবেটের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। ২০২০ সালে রাজপরিবার ছেড়ে দেয়, এর পরেই যুক্তরাজ্য ত্যাগ করে।
সূত্রঃ বিবিসি