দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজত চায় সিবিআই।
আদালত সিবিআই-এই আববেদন মঞ্জুর করেন।
গত বছর আগস্টে সিসৌদিয়ার বাড়ি-সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। তার ব্যাংক লকারও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই দিনই সিসৌদিয়া ও আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে আম আদমি পার্টি। বিজেপির সদর দপ্তর ঘেরাও করার ডাক দেয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। আপের দাবি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিসোদিয়াকে। সেই সূত্রেই ‘কালা দিবস’ পালনের কর্মসূচি।
সোমবার দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে দাবি করেন, অধিকাংশ সিবিআই কর্মকর্তারা মণীশের গ্রেপ্তারির বিরোধী। প্রত্যেকে তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করেন। তাছাড়া কোনও প্রমাণও নেই। প্রবল রাজনৈতিক চাপে পড়ে মণীশকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হন তারা। ক্ষমতাবান রাজনীতিকের কথা মানতে হয়েছে।
সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারিতে টুইট করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন । টুইট বার্তায় তিনি এর পিছনে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছেন। ডেরেকের দাবি, যদি মণীশ সিসোদিয়ার কাছে বিজেপি ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিন থাকত তবে তিনি কখনই গ্রেপ্তার হতেন না।
তিনি লেখেন, শিব সেনা, এসএ দল, জেডি(ইউ), টিডিপি ও অন্যরা বিজেপিকে বর্জন করেছে। এখন সিবিআই, ইডি, আইটি হল তাদের (বিজেপির) প্রকৃত শরিক। সব মিলিয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারিতে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে রাজধানী দিল্লিতে।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত