দোল উৎসব
স্বপ্নের দোল উৎসব আসে পূর্ণিমার রাতে,
সমুদ্রের তীরে সাজানো পাখির সঙ্গে বাতাসের ঝক ঝকে।
ঘুর্ণিঝড় নামছে মেঘের মাঝে,
ঝড়ের মধ্যে রঙিন ছোঁয়া ছড়িয়ে হাতে।
দোল উল্লাস আমার, সবুজ ঘাসের মেলা,
ফুলদানি সুরের সাথে মিলিয়ে মনে হাসির খেলা।
বাতাস ঝকঝকে সাজানো পাখির উড়ন্ত গান,
সুন্দর মণির জুঁইর মতো বান্ধে রঙিন কান্দে গান।
পূর্ণিমার রাতে দোল উৎসব যাচ্ছে,
দূর থেকে শোনা যায় উদ্দিপনার রূপকথার কথা।
জীবনের স্বপ্নগুলো সাক্ষাৎ হচ্ছে সেই রাতে,
দোল উৎসব নিয়ে হৃদয় জোড়া উপহার পাঠাচ্ছি প্রতিদিনের গানের সাথে।
স্বপ্নগুলো সেই রাতে পূর্ণিমার আলোয় জাগে,
চাঁদের আলোয় সোনালী হয়ে উঠে মেঘের মাঝে।
স্বপ্নের পুরোনো কারণ ভুলে যায় আমি,
স্বপ্ন হচ্ছে না কিন্তু প্রত্যক্ষ আলোর একটি স্বপ্নের মতো নামি।
দোল উৎসবের মধ্যে সব ভুল ভাঙতে পারি,
পুরাতন স্মৃতিগুলো আনতে পারি তারপর সব ভুল ভাবনা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
স্বপ্নগুলো সেই রাতে আবার ফিরে আসে,
দোল উৎসব আমার স্বপ্নের মতো শুধু একটি পর্বে।
দোল উৎসব নিয়ে কবিতা লিখতে গিয়ে সেই স্বপ্ন আবার একবার জাগে,
একটি নতুন দিনের সূর্যের আলোয় স্বপ্নগুলো পুনরায় আবির্ভব হবে।
আমার স্বপ্নগুলো বলছে দোল উৎসব আসছে,
ঘরের সবাই নামলে ঘুম থেকে উঠে ফিরে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করছে।
দোল উৎসবের জন্য সবাই সাজিয়ে নেওয়া সাজ আর দেখতে মনে হচ্ছে প্রকৃতি আমাদের সঙ্গে,
শিশির বয়সের আমরা তো মনে করি দোল খেলা বা হাসি মাখা আমাদের জন্য, কিন্তু এখন তারপর সেই বয়সের আমরা প্রথম আবিষ্কার করেছি সেই জীবনের সার্থকতা।
দোল উৎসবের দিন প্রায় শেষ হতে হলেও সেই দিন বিশেষ,
সেই দিনের স্মৃতি জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি স্মৃতি যা জীবন সবসময় মনে রাখবে।
দোল উৎসবের সেই দিন আবার ফিরে এসে আমাদের সাথে,
আমাদের জীবনের সময় অনেক কিছু বদলে গেছে কিন্তু দোল উৎসবের মতো সুখ, মধুর আবর্ত এবং ভালোবাসার মাঝে একসাথে থাকবে।
ছবিঃ সংগৃহীত