কবি সুভাষ থেকে রুবি অর্থাৎ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে এই দুটি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো চালানো যাচ্ছেনা। এই মেট্রো চালু হওয়ার আশায় অনেক যাত্রী ছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে।
এই মেট্রো চালু হলে অনেক কম সময়ের মধ্যে গড়িয়া থেকে রুবি মোড় আসা যেত। গত ৩০ জানুয়ারি এই রুটে মেট্রো চালানো যাবে কিনা সেটা পরীক্ষা করেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। ৭ ফেব্রুয়ারি সিআরএস শুভময় মৈত্র এই মেট্রো চালানোর ছাড়পত্র দিয়েও দেন। শেষ মুহূর্তে আবারো একটি সমস্যার কারণেই বিলম্ব।
আদতে, রেল সেফটি কমিশনারের থেকে অনুমতি পাওয়া গেলেও, এখনো এই রুটে ভাড়া নির্ধারণ হয়নি। সেই কারণেই এখনো এই রুটের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকেই মনে করেছিলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরের মতোই এই লাইনেও ভাড়া হবে। তবে, সেরকম ব্যাপারটা নয়, বলেই মনে হচ্ছে এবারে।
এই মেট্রো রুট চালু না হওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে। আগে ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল ভাবে জোকা-তারাতলা মেট্রো করিডরের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এবারে এই নতুন মেট্রো রুটের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে উদ্বোধন করাতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেও কিছুটা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে কলকাতা মেট্রো চরম কর্মী সংকটেও ভুগছে, টাকার অভাবে এখনো পর্যন্ত সিগনালিং ব্যবস্থা চালু করা যায়নি এই রুটে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েছে এই চতুর্থ মেট্রো রুটের উদ্বোধন করানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের, সেই কারণে এখনো পর্যন্ত এই মেট্রো করিডোরের উদ্বোধন হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে এখনো সময় মেলেনি। সেই কারণেই আরো দেরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছে মেট্রো রেল। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘রেল বোর্ড থেকে এখনও উদ্বোধনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি। রেল বোর্ডের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা যাত্রী পরিষেবা চালু করব।’