জনগণকে উৎসাহী করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে বিয়ে এবং জন্মহার বাড়াতে, চীন। এখন সদ্য বিবাহ করা দম্পতিদের ৩০ দিনের ছুটির কথা জানিয়েছে কয়েকটি প্রদেশের ঊর্ধ্বতনরা।
গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে চীনের শাসকগোষ্ঠী, কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি হেলথ। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত চীনে বিয়ের জন্য ছুটি পাওয়া যায় মাত্র তিন দিন। কিছু কিছু প্রদেশে চলতি মাস থেকেই আরও বেশি ছুটি পাচ্ছে।
পিপলস ডেইলি হেলথের তথ্যানুযায়ী, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসু ওশানসিতে বিয়ের জন্য চাকরিজীবীরা ৩০ দিনের ছুটির সঙ্গে পাবেন বেতন এবং বোনাস। সাংহাইয়ের বাসিন্দারা ১০ দিনের ছুটি পাবেন। তবে, সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দারা আগের ছুটি অর্থাৎ তিনদিন করেই পাবেন।
চীনের সাউথওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের সামাজিক উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিন ইয়াং হাইয়াংকে উদ্ধৃত করে পিপলস ডেইলি হেলথ জানায়, ‘জন্মহার বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হলো বৈবাহিক ছুটি বৃদ্ধি।
চীনে ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে। এতেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে। এমনকি বিয়ের পরিমাণও দেশটিতে কমে গেছে। জনগণ বৃদ্ধি করতে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জনসংখ্যা কমাতে ১৯৭৯ সালে কঠোর এক সন্তান নীতি চালু করে চীন। এ নীতি ভঙ্গের কারণে অনেক পরিবার জরিমানার মুখে পড়ে, অনেকে চাকরি হারান, জোরপূর্বক গর্ভপাতেরও শিকার হন।
এক সন্তান নীতির ফলে অনেকে সন্তানই নিচ্ছিল না। একইসঙ্গে লেখাপড়া এবং জীবনযাপনে খরচ বৃদ্ধির জন্য মানুষেরা সন্তান বিমুখ হয়ে পড়ে।
ছবিঃ সংগৃহীত