Tripura: বিজেপি চাঁদার জমানা ঘুচিয়েছে ত্রিপুরায়ঃ নরেন্দ্র মোদি

Published By: Khabar India Online | Published On:

সামনে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ১৬ ফেব্রুয়ারি টিলার রাজ্যে ভোট গ্রহণ। শাসক দল বিজেপি থেকে তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছে।

শনিবার ত্রিপুরায় ভোটের প্রচারে এসে এক যোগে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ত্রিপুরার আমবাসায় এদিন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাম এবং কংগ্রেস সরকারের আমলে বারংবার ত্রিপুরার উন্নয়ন বাধা পেযেছে। এখন আর চাঁদা দিতে হয় না, আগে সব কাজের টাকা দিতে হত। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল তাদের পতাকা লাগাতে পারত না ৷ এখন আর তা হয় না ৷

আরও পড়ুন -  Dhanteras Is Celebrated: দীপাবলীর আগেই দেশ জুড়ে পালিত হয় ধনতেরাস, পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে

মোদির অভিযোগ, আগে চাঁদা সমস্যায় জর্জরিত ছিল ত্রিপুরা ৷ তিনি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, এখানে একটাই শব্দ ছিল, চাঁদা। বাড়ি করতে চাঁদা, রাস্তা করতে চাঁদা, কোনও কাজ করলেই চাঁদা দিতে হত। এখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে সেই চাঁদা বন্ধ করে দিয়েছে। আগে তো থানাতেও চাঁদা দিতে হত। বামপন্থীরা সব কব্জা করে রেখছিল। কোনও আইনের শাসন ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে৷ আজ এখানে আমার মাথায় পাগড়ি পড়ানো হল। আসলে এটা পাগড়ি নয় ৷ এটা আমার কাছে মায়ের আশীর্বাদ। মা আমার মাথায় হাত রাখলেন।

আরও পড়ুন -  Vaifonta: আজ ভাইফোঁটা, পৌরাণিক কাহিনী থেকেই ভাইফোঁটার প্রচলন…

ত্রিপুরার ভোটারদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, আপনাদের এক একটি ভোটের দৌলতেই বামপন্থীদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল ত্রিপুরা। এখন আবার আপনাদেরই এক একটি ভোটে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটবে। বামেদের সরকার গঠন করতে দেবে না।

মোদি বলেন, এখানে সরকারি কর্মচারীদের সুবিধা ছিল না। এখন তাদের বেতন বা অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এই ধলাই জেলায় আমি যেখানে বক্তব্য রাখছি, সেটি আগে পিছিয়ে পড়া জেলা ছিল। এখন দেশের মধ্যে অন্যতম উন্নয়নশীল জেলা। আর এটাই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুবিধা।

আরও পড়ুন -  ভারতীয় উপজাতিদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির পরিধি বিস্তার করেছে ট্রাইফেড

৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। সে রাজ্যে প্রচারে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার প্রায় ৫০ মিনিটের ভাষণে তৃণমূল কিংবা মমতার নাম উল্লেখ করেননি মোদি। উল্টো বার বার এসেছে বাম ও কংগ্রেসের নাম।

সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস। ছবিঃ সংগৃহীত