শ্রী কেশুভাই প্যাটেলের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ আজ দেশের, গুজরাটের এক মহান সুপুত্র আমাদের সবার থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন। আমাদের প্রত্যেকের প্রিয় শ্রদ্ধেয় কেশুভাই প্যাটেলজির প্রয়াণে আমি অত্যন্ত দুঃখিত, শোকস্তব্ধ। শ্রদ্ধেয় কেশুভাইয়ের মৃত্যু আমার জন্য যে কোনও পিতাতুল্য ব্যক্তির মৃত্যুর মতো। তাঁর মৃত্যু আমার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। প্রায় ছয় দশক ধরে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অখণ্ড রূপে একটাই লক্ষ্য ছিল, তা হল – রাষ্ট্রভক্তি, রাষ্ট্রহিত।

কেশুভাই একটি অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। একদিকে তাঁর ব্যবহারে সৌম্যতা, আর অন্যদিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ছিল তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সমাজের জন্য, সমাজের প্রত্যেক বর্গের মানুষের সেবায় সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিটি কাজ ছিল গুজরাটের উন্নয়নের জন্য, তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল প্রত্যেক গুজরাটিকে ক্ষমতায়িত করার জন্য।

আরও পড়ুন -  World Cup Stadiums: বিশ্বকাপের দুই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন, কাতার

একটি অত্যন্ত সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করে কেশুভাই কৃষক ও দরিদ্র মানুষের দুঃখকে খুব ভালোভাবে বুঝতেন, তাঁদের সমস্যাগুলি বুঝতেন। কৃষকদের কল্যাণই তাঁর জীবনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেত। নবীন বয়সে বিধায়ক হিসেবে, তারপর সাংসদ হিসেবে ও পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেশুভাই তাঁর সমস্ত পরিকল্পনায়, সমস্ত সিদ্ধান্তে কৃষকদের হিতকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। গ্রাম, গরীব, কৃষকদের জীবন সহজ করে তোলার জন্য তিনি যে কাজ করেছেন, রাষ্ট্রভক্তি এবং জনগণের প্রতি ভক্তির যে আদর্শ নিয়ে তিনি সারা জীবন যেভাবে চলেছেন, তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আমাদের প্রেরণা জুগিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন -  IT: গুরুতর অভিযোগে জর্জরিত, ভারতীয় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা

কেশুভাই গুজরাটের প্রতিটি রং, তাঁর শিরা-ধমনীর মতো চিনতেন। তিনি জনসঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টিকে গুজরাটের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন, প্রত্যেক প্রান্তকে শক্তিশালী করেছেন। আমার মনে আছে, জরুরি অবস্থার দিনগুলিতে কিভাবে কেশুভাই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন, সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করেছেন।

কেশুভাই আমার মতো অনেক সাধারণ কর্মকর্তাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন, সর্বদা আলোকবর্তিকা হিসেবে পথ দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও আমি নিরন্তর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। গুজরাট গেলে আমি যখনই সুযোগ পেতাম, আমি তাঁর আশীর্বাদ নিতে গিয়েছি। এই তো কয়েক সপ্তাহ আগেই, সোমনাথ ট্রাষ্ট্রের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সময়েও আমার তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে এবং তিনি খুব খশি মনে কথা বলছিলেন। করোনার এই সঙ্কটকালে তাঁর সঙ্গে আমার ফোনেও অনেকবার কথা হয়েছে। আমি তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। প্রায় ৪৫ বছর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ, প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয় – আজ একসঙ্গে অনেক ঘটনা আমার মনে পড়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  অভিনেত্রী Nia Sharma, সাদা কাট-আউট পোশাক চাবুক ফিগারে

আজ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রত্যেক কর্মকর্তা আমার মতোই অত্যন্ত দুঃখিত। আমি আমার সমস্ত সমবেদনা কেশুভাই প্যাটেলের পরিবারকে জানাই, তাঁর প্রিয়জনদের জানাই। এই দুঃখের সময়ে আমি তাঁর পরিবারের সঙ্গে নিরন্তর সম্পর্ক রেখে যাচ্ছি।

আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন কেশুভাইকে তাঁর চরণে স্থান দেন, তাঁর আত্মাকে শান্তি দেন।
ওম শান্তি!!! সূত্র – পিআইবি।