তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের দুর্যোগ এবং জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
সিরিয়ার বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী দল হোয়াইট হেলমটেস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে ১ হাজার ৯০০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইনসিডেন্ট রেসপন্স ম্যানেজার রবার্ট হলডেন বলেন, এখন হাজার হাজার মানুষ খোলা জায়গায়, খারাপ এবং ভয়াবহ অবস্থায় বেঁচে আছে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিতসহ জল, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ নেই।
হলডেন বলেন, আমরা সেকেন্ডারি বিপর্যয় মুখে পড়ার প্রকৃত ঝুঁকিতে আছি। আমরা অনুসন্ধান এবং উদ্ধার তৎপরতা যে গতিতে চালিয়েছি সেই একই গতিতে এগিয়ে না এলে, ভূমিকম্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
ভূমিকম্পের পর তুরস্ক-সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারী দলসহ মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘ, ইইউ, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস এবং পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা।
ছবিঃ সংগৃহীত