বিমানের ২টি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের। ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক বক্সগুলো ভাল অবস্থায় রয়েছে। পর্যটন শহর পোখারায় অবতরণের ঠিক আগে পরিষ্কার আবহাওয়ায় টুইন-ইঞ্জিন এটিআর৭২ বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নির্ধারণ করতে তদন্তকারীদের সাহায্য করতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলার কথা অনুযায়ী, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পর সোমবার সকালে উদ্ধার কাজ পুনরায় শুরু করার পর ব্ল্যাক বক্সগুলো উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য, সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত যন্ত্রটি একটি ফ্লাইট রেকর্ডার। এটি বিমানে ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস। বিমানের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কোনো বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ব্যবহৃত হয়। এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এটিকে ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকেন না, বরং তারা বলেন ফ্লাইট রেকর্ডার।
ব্ল্যাক বক্স কালো কোন বস্তু নয়। বরং এর রং অনেকটা কমলা ধরনের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, জল বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এটি টিকে থাকে।
১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অক্ষত থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টীল বা টাইটেনিয়ামের খোলস দিয়ে বাক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়।
ছবিঃ সংগৃহীত