অনেকেই আজকালকার দিনে অভিযোগ করে থাকেন ডাক বিভাগের কাছে। এবারে খোদ ডাকবিভাগ জানাচ্ছে, পোস্ট অফিসে নাকি নিয়ম মানা হচ্ছে না।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের মৃত্যু পরবর্তী ক্লেমের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে কাজ হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। সম্প্রতি সেই মর্মে একটি নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট, যাতে বলা হয়েছে ডিজিজ ক্লেমের ক্ষেত্রে যেন আবেদনগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
পোস্ট অফিসগুলিকে এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। গত ৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের একটি প্রেস বিবৃতিতে এমনটা জানিয়ে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমত মৃত্যুর ক্লেম এবং নো ইওর কাস্টমার নথি গ্রহণ করার সময় আবেদনকারীর নথি যাচাই করে নিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ, কেওয়াইসি ডকুমেন্টের জেরক্স কপিতে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর করা না থাকলে, সে ক্ষেত্রে তাদেরকে আর শারীরিক উপস্থিতি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। তৃতীয়ত, টাকা ট্রান্সফার করার জন্য আবেদনকারীর নথি জমা দেওয়ার সময় তার থেকে ব্যাংক একাউন্ট অথবা পোস্ট অফিস সেভিংস একাউন্টের তথ্য নিয়ে রাখতে হবে।
একবার আবেদন মঞ্জুর হয়ে গেলে চেক এর মাধ্যমে টাকা তুলতে আর পোস্ট অফিসে আসতে হবে না আবেদনকারী কে। সরাসরি একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে, অনেকটা স্বচ্ছ এবং সুরক্ষিত হবে।
মৃত্যুর দাবির ক্ষেত্রে এই কেস নিস্পত্তির জন্য সাব পোস্ট অফিস হয়তোবা হেড পোস্ট অফিসের থেকে আলাদা করে অনুমোদনের মেমো জাতীয় কিছু ফর্ম জারি করার কোন প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ণ নথি সহ একটি ক্লেম আসলে, তা যাচাই করনের কোন বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নেই। একটি কার্য দিবসের মধ্যেই নমিনেশনের সমস্ত নথি এবং আবেদন মঞ্জুর করে দেওয়া যেতে পারে।
নমিনি না থাকলে সেক্ষেত্রে আর একটু সময় নেওয়া হতে পারে। সেখানেও ৭ কার্য দিবসের বেশি সময় নেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, মৃতের একাউন্টে ৫ লক্ষ টাকার কম থাকলে এবং প্ল্যানে নমিনি করা না থাকলে মৃত্যু ৬ মাস পর ক্লেইম ফর্ম, একটি মৃত্যুর শংসাপত্র জমা দিয়ে টাকা দাবি করা যেতে পারে।