আরব ও আফ্রিকান ফুটবলের ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নেয়া দলটি চোখ রেখেছিল ফাইনালে। ফরাসি বাধা পেরোতে পারেনি তারা। ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে ফরাসিরা।
আটলাস লায়ন্সদের ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ফরাসিরা। গোল দুটো করেছেন থিও হার্নান্দেজ ও কলো মুয়ানি
পাঁচ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায়। আন্তোনিও গ্রিজম্যানের উদ্দেশে দুর্দান্ত বল বাড়ান রাফায়েল ভারান। গ্রিজম্যান একটু সামনে এগিয়ে বল পাস বাড়ান সামনে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এমবাপ্পে দুবার গোলের উদ্দেশে শট মারলেও তা আটকে যায়। শেষ বার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা চলে যায় বাঁ দিকে থাকা থিও হার্নান্দেজের দিকে। মরক্কোর ডিফেন্ডাররা ততক্ষণে এক দিকে সরে এসেছেন। উল্টো দিকে থাকা থিও কিছুটা লাফিয়ে বাঁ পায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়ান। ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দ্রুততম গোল এটি।
১০ মিনিটের মাথাতেই সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। বক্সের বাইরে ডান দিক থেকে শট করেছিলেন ওউনাহি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাত ঠেকিয়ে কোনও ফ্রান্সকে বাঁচান হুগো লরিস।
১৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল ফ্রান্সের সামনে। মাঝমাঠ থেকে বল ভেসে এসেছিল অলিভিয়ের জিরুদের উদ্দেশে। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট মারেন। পোস্টে লেগে তা মাঠের বাইরে চলে যায়।
৪৪ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ এসেছিল মরক্কোর কাছে। হাকিম জিয়েচের কর্নার ফ্রান্সের রক্ষণ ক্লিয়ার করে দেয়ার পর ব্যাক ভলি মেরেছিলেন মরক্কোর জাওয়াদ এল ইয়ামিক, পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধের, একের পর এক আক্রমণ চালায় গ্রিজম্যান এমবাপ্পেরা। গোলের দেখা মিলছিল না। পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছিল মরক্কোও।
৭৫ মিনিটের মাথায় দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। চুয়ামেনির পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন হামিদাল্লাহ। ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা তখনও কেউ নিজের পজিশনে ছিলেন না। শট নেয়ার বদলে বক্সের মধ্যে একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তার পা থেকে বল কেড়ে নেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে লিড ২-০ করেন কলো মুয়ানি। সেই এমবাপ্পের প্রচেষ্টা থেকেই গোল। বক্সের মাঝখান থেকে বল পেয়েছিলেন চুয়ামেনি। তিনি পাস দেন এমবাপ্পেকে। দু-তিন জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পায়ের জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন এমবাপ্পে। বল মরক্কোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে সোজা চলে যায় ডান দিকে দাঁড়ানো মুয়ানির কাছে। অনায়ায়ে বল জালে জড়ান তিনি।
ছবিঃ সংগৃহীত