সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। প্রায় ৩৬ বছরের শিরোপা ঘোচানোর পথে খানিকটা এগিয়ে গেলো আলবিসেলেস্তেরা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুলিয়ান আলভারেজ।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রেখে আর্জেন্টাইন রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দিদের নৈপুণ্যে ডি-বক্সে ঢোকার সুযোগ পায়নি মদ্রিচরা। ১৬ মিনিটে প্রথম কর্নার তুলে নেয় ক্রোয়াটরা। ১৭ মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নেয় গত আসরের রানার্সআপরা। সে শট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
১৮ মিনিট পেরিয়েও আক্রমণে বেশ ব্যাকফুটে ছিলো আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়ার ৬৫ শতাংশের বিপরীতে মেসিরা তখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখতে পেরেছিলো। গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারেনি দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
২৫ মিনিটে গোলের উদ্দেশে প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনা। অবশ্য ডি-বক্সের বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের শট সে যাত্রায় ফিরিয়ে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত রাখেন লিভাকোভিচ।
এবার আর্জেন্টিনার রক্ষণে হানা দিয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। বিপদ বাড়ার আগেই কোভাসিচকে আটকে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা। ৩১ মিনিটে গোলের জন্য শট নেন পেরিসিচ। তার শটটি চলে যায় বারের উপর দিয়ে। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে লিভাকোভিচের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। গোলের মাধ্যমে ১১ গোল করে ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় বাতিস্তুতাকে পেছনে ফেলেছেন।
৩৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ক্রোয়াটদের ডি-বক্সে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। এক মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগো ডি পলের শট ক্রোয়াট ডিফেন্ডারদের বাধায় লক্ষ্যে থাকেনি।
গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। ওতামেন্দি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুণ্যে তাদের সে সুযোগ বিফলে যায়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
এক আক্রমণের শেষে আর্জেন্টিনা পায় তৃতীয় গোলের দেখা। ক্রোয়াট বিপদসীমার ডান দিক থেকে ঢুকে তিন ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে অ্যালভারেজকে বলটা বাড়ান মেসি। প্রথম ছোঁয়াতেই তিনি বলটা জড়িয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার জালে। ফলে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে।
শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মদ্রিচরা। শেষ পর্যন্ত এই মিডফিল্ডারকেও উঠিয়ে নেন দালিচ। কিন্তু ফল মেলেনি তাতেও। বারবার আক্রমণ সাজিয়েও আর্জেন্টিনার রক্ষণের কাছে পেরে উঠলো না তারা।
ছবিঃ সংগৃহীত