৭ বছর বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঠে ভারতের ও বাংলাদেশ মধ্যকার প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে।
টেস্ট ম্যাচে ভালো কিছু করতে চায় টাইগাইরা। বাংলাদেশ দলের টেস্টের পথচলা শুরু হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই।
২২ বছরে দু-দেশ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে মোটে ১১ বার। টাইগারদের ৯ হারের পাশে দুইবার ড্র হওয়ার ঘটনা বৃষ্টির কল্যাণে।
২০০৭ সালে চট্টগ্রামেই বাংলাদেশ প্রথম ড্রয়ের স্বাদ পায়। পরেরটি ২০১৫ সালে ফতুল্লায়। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে কখনো জয়ের দেখা না পাওয়া বাংলাদেশ টিম। সেই লক্ষ্যে গত দু’দিন চট্টগ্রামের মূল মাঠে কঠোর অনুশীলন করেছে মুশফিক-রিয়াদরা।
ইনজুরির কারণে এই সিরিজে খেলা হচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করবেন লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগ্রাসী ক্রিকেটকেই বেছে নিতে চান রাহুল। কন্ডিশন বা ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চান। সিরিজটি যেহেতু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, সেক্ষেত্রে হেলাফেলা করার কোনও সুযোগই রাখছেন না রাহুল।
রাহুল বলেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ উতরে যাওয়ার ব্যাপার আছে আমাদের। আমাদেরও আগ্রাসী হতে হবে। আমরা জানি আমাদের অবস্থান কোথায়, ফাইনালে যেতে কী করতে হবে। যেমনটি বললাম, নির্দিষ্ট দিনে সবকিছু বিবেচনা করব। এটা টেস্ট ক্রিকেট প্রতিটি দিন, প্রতিটি সেশনে দলের চাহিদা বিবেচনা করতে হবে। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসেন কোচ ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ভারত কিছুটা অর্থডক্স ধরনের দল যেভাবে টেস্ট খেলে। তাদের এমন ক্রিকেটার আছে যারা দ্রুতই ম্যাচটা আপনার হাত থেকে নিয়ে নিতে পারে, তারা সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার।
টাইগার কোচ বলেন, যদি আপনি বলেন ইংল্যান্ডের মতো ব্যাট করতে, আমার তেমন মনে হয় না। এই মুহূর্তে না। অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চকর যেভাবে তারা খেলে, এগিয়ে যায়। এটা তাদের বড় কৃতিত্ব।
তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ডিসিপ্লিন ও ধৈর্য বোলিংয়ে। চাপের সময় শান্ত থাকতে হবে। তবে আমি ভারতের কাছ থেকে ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেটের প্রত্যাশা করি না।
ছবিঃ সংগৃহীত