যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর সংস্থার প্রধানসহ ব্রিটিশ ও জার্মানির ৩২ ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান।
সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানাল ইরান।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য ইউরোপীয় এবং ব্রিটিশদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে প্রায় তিন মাসের বিক্ষোভে ইরানের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনায় বিশেষভাবে সোচ্চার হয়েছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিসহ পশ্চিমাদেশগুলো। সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইরানের বেশ কয়েকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর সংস্থা এমআই৫-এর মহাপরিচালক কেন ম্যাককালাম এবং চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল স্যার টনি রাদাকিনের নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যদের নাম। টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ সংস্থার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরান।
জার্মান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কোম্পানিও ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত হয়েছে। রয়েছে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির প্রাক্তন প্রধান অ্যানেগ্রেট ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাউয়ার এবং ক্লডিয়া রথ, ফেডারেল গভর্নমেন্ট ফর কালচার অ্যান্ড দ্য মিডিয়া কমিশনার।
ফরাসি ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন চার্লি হেবদো এবং রেডিও ফ্রি ইউরোপের ফার্সি সংস্করণও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
ফাইল ছবি