নেদারল্যান্ডসকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষে।
শুরু থেকে আর্জেন্টিনার আধিপত্যই ছিল বেশি। প্রথমার্ধে ও দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি পর্যন্ত আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছিল, মেসির পেনাল্টি গোলে ২-০ গোলের লিড নেওয়ার পর হঠাৎই রক্ষণাত্মক ধাঁচে নিজেদের মুড়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবলেরই খেসারত দিতে হল নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ করতে না পেরে।
৩৫ মিনিটে লিড নেয় নীল সাদা জার্সিধারীরা। মেসি বলটা ধরে সামান্য মাথা উঁচু করে দেখে নিলেন ফুলব্যাক মলিনা বক্সে ঢুকে পড়েছেন। দুই ডাচ ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বা পায়ের থ্রু বাড়ালেন ম্যাজিশিয়ান। মলিনা ফিনিশ করতে ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনার পায়ে বল ছিল বেশি। ৬২ মিনিটে মেসির একটি ফ্রি কিক অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ব্লিন্দের পরিবর্তে স্ট্রাইকার ডি ইয়ংকে নিয়ে আসে নেদারল্যান্ডস।
৬৫ মিনিটে ডে পলকে তুলে নিয়ে পারেদেসকে নিয়ে আসে আর্জেন্টিনা। ৭৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার লেফট ব্যাক মার্কোস আকুনাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন দামফ্রিজ। পেনাল্টি দেন রেফারি। বল জালে জড়াতে ভুল করেনি মেসি। বিশ্বকাপের আসরে ১০ গোল হয়ে গেল মেসির। স্পর্শ করে ফেললেন গাবরিয়েল বাতিস্তুটাকে।
নেদারল্যান্ডস লড়াই চালাল বটে, কমব্যাক করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। মোটামুটি বিনা চ্যালেঞ্জে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মারাদোনার দেশ। ক্রোয়েশিয়ার চ্যালেঞ্জের জন্য এবার প্রস্তুত হবেন স্কালোনির ছেলেরা।
শেষ ১০ মিনিটে অবশ্য চাপ বাড়াল ডাচ দল। ওয়েজহর্ট হেডে একটি গোল শোধ করলেন। আবার আক্রমণ করছিল নেদারল্যান্ডস। শেষদিকে মাথা গরম করে মারামারি হল। ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল।
শেষ লগ্নে গোল করে দিল নেদারল্যান্ডস। সেই ওয়েজহরস্ট। ফ্রিকিক দেওয়ালের নীচ দিয়ে গলে যেতেই বুদ্ধি করে প্লেস করলেন। অতিরিক্ত সময় আর্জেন্টিনার সুযোগ বেশি তৈরি করেও গোল করতে পারেনি।
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানও মার্টিনেজ আবার রক্ষা করতে হয়ে উঠলেন টাইব্রেকারে। প্রথম দুটি শট সেভ করে আর্জেন্টিনাকে অ্যাডভান্টেজ এনে দিলেন। আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করল ৪-৩ ব্যবধানে।
ছবিঃ ইন্টারনেট।