সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সামনে নেদারল্যান্ডস। কঠিন প্রতিপক্ষ। এমন একটা ম্যাচের আগে মেসি রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। বোঝা গেছে প্রাণের বন্ধু আগুয়েরের সঙ্গে মেসির টুইটারে কথোপকথনে। কথা বলতে বলতে কখনও বেরিয়ে এসেছে মন খারাপের বিষয়, কখনও বাড়তি উচ্ছ্বাস এবং রঙ্গ–রসিকতা।
২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে প্রত্যেকবার আগুয়েরোর সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলে কাটানো অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল মেসির। এবারই প্রথম একসঙ্গে নেই আগুয়েরো।
টুইটারের একটি পডকাস্টে মেসি বলছিলেন, আমরা দুজনে অনেক সুখের মুহূর্ত কাটিয়েছি। বিশেষ করে শেষ কোপা আমেরিকা ট্রফি জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটা ভোলার নয়। এবার কথায় কথায় উঠে এল দুজনের একসঙ্গে বছরের পর বছর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে খেলার সময় একই ঘরে থাকার।
মেসি এবার একাই রয়েছেন। আগুয়েরো জানতে চান মেসির কাছে, আমাদের ঘরটা কোথায়, কেমন? তখন মেসির উত্তর, বন্ধু, তুমি এখানে সশরীরে না থাকলেও, ঘরটা আমাদেরই আছে। আগুয়েরো জবাবে বলেন, তোমার আর আর্জেন্টিনা গোটা দলের জন্য শুভেচ্ছা রইল নেদারল্যান্ড ম্যাচের আগে। বিশ্বকাপে যা ফলই হোক না কেন, তুমি কিংবদন্তিই থেকে যাবে।
মেসির খোশমেজাজ এদিন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেনিং সেন্টারের মাঠে নজর কেড়েছে প্রবলভাবেই। আর্জেন্টিনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আজকের ম্যাচ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়া, ডাচদের বিপক্ষে লড়াইটা এবার আরও কঠিন। ওদের দলে একঝাঁক দারুণ ফুটবলার রয়েছে, একজন বিশাল মাপের অভিজ্ঞ কোচ। কোয়ার্টার ফাইনালে আমাদের যথেষ্ট বেগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ওরা। তাই এতদিন যা খেলেছি, তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি খেলার মান বাড়াতে হবে।
ম্যাচের আগে বড় ভরসা জোগাচ্ছে আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনিকে। বয়সে তার থেকে অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেদারল্যান্ডের কোচ ৭১ বছরের ভ্যান গালের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই তার চেহারায় কোনও চাপ নজরে আসেনি।
কোচ স্কালোনি আগের মতই ভ্যান গালের প্রশংসা করে বললেন, বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন একজন কোচের মুখোমুখি হওয়াটা ভাগ্যের। আগে ক্লাব পর্যায়ে ভ্যান গালের সামনাসামনি হলেও এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মঞ্চ। ডাচদের খেলার একটা প্যাটার্ন আছে। শুধু আক্রমণ করলেই হবে না, প্রতিপক্ষের আক্রমণের ধার বুঝে ডিফেন্সটাও সমান জমাট রাখা দরকার। ম্যাচটা ৯০ মিনিটেই জিততে চাই। অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে গড়ালে, তার জন্য ফুটবলারদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেছি।
ছবিঃ ইন্টারনেট।