ভারতকে ৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজ জিতে নিলো টিম টাইগার।
বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে ভারত ও বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করে সাকিব-মিরাজরা।
বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। ৫ রানে ম্যাচ হেরে সিরিজ হাত ছাড়া।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি ব্যাটাররা।
লিটনের ফেরার উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে নিয়ে ধীরে ধীরে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও আচমকা খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। উমরান মালিকের গতির ঝড়ে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েন এই দুই ব্যাটার। ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরেন সাকিব, মুশফিক ও আফিফ।
৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন রিয়াদ ও প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের নায়ক মিরাজ। দেখে-শুনে ব্যাট করতে থাকেন দুই ক্রিকেটার। তুলে নেন ৫০ রানের জুটি। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৭৭ রানে আউট হলেও মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। মিডল ওভারে রাহুলকে নিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেও পারেননি শ্রেয়াস আয়ার। অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটিতে চোখ রাঙানিটা ছিলো স্পষ্ট। বাংলাদেশকে আবারও ম্যাচে ফেরান মিরাজ।
৫৬ বলে ৫৬ রান করা অক্ষর প্যাটেলকে বাউন্সারের ফাঁদে ফেলেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন এবাদত। পরের উইকেটটা নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শার্দুল ঠাকুরকে স্ট্যাম্পিং করে ভারতের সপ্তম উইকেটটা তুলে নেন বাঁহাতি এ স্পিনার।
তবে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন রোহিত শর্মা। আঙুলের চোটের কারণে ওপেনিংয়ে না নামা ভারতীয় অধিনায়ক বাংলাদেশের নাভিশ্বাস তুলেছেন শেষ দুই ওভারে। দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিলো ৪০ রান। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ৫ রানে হারতে হয় ভারতকে।
জয়ের মাধ্যমে ৭ বছর পর আবারও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
ছবিঃ সংগৃহীত।