নক আউট পর্বের ম্যাচে হ্যারি ক্যানের ইংল্যান্ডের সাথে মুখোমুখি হয়েছিল সেনেগাল। নক আউটে অনায়াসে সেনেগালকে হারিয়ে শেষ আটে উঠে গেল ইংল্যান্ড। সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে ইংল্যান্ডকে খেলতে হবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচটা হবে কাতার বিশ্বকাপে অন্যতম।
বিশ্বকাপে এর আগে সাত বার সেনেগালের বিপক্ষে খেলেছে ইংল্যান্ড। এক বারও হারেনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রথম এ সেনেগাল কিছুক্ষণ ভাল খেললেও গোল খেতেই গুটিয়ে গেল। প্রথমার্ধেই দু’গোল করে ম্যাচ কার্যত শেষ করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও একটি গোল করল। অ্যালিউ সিসের দলের পক্ষে সেই পরিস্থিতি থেকে ম্যাচে ফেরা সম্ভব নয়।
২০ মিনিট ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের পায়ে ৭০ শতাংশ বল ছিল। ২৩ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাগুয়েরের ভুল পাসে পেয়ে যান সেনেগালের দিয়াত্তা। তাঁর থেকে বল পান দিয়া। তাঁর থেকে বল পেয়ে গোলের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ইসমাইলা সার। ৮ মিনিট পরে আবার বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। এই বার সাকার খারাপ ব্যাক পাস কাজে লাগিয়ে আক্রমণ করেন সার। পাস দেন সেই দিয়াকে। দিয়ার বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন জর্ডান পিকফোর্ড।
৩৮ মিনিটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। হ্যারি কেন মিডফিল্ড থেকে বল পেয়ে বাঁ দিকে বাড়িয়ে দেন বেলিংহ্যামকে। তিনি সামনে এগিয়ে পাস দেন হেন্ডারসনকে। বাঁ পায়ে চলতি বলেই শট নিয়ে গোল করেন হেন্ডারসন। ম্যাচের শেষ গোলটি আসে ৫৭ মিনিটে। ফোডেনর পাস থেকে বুকায়ো সাকা ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন।
পারা সাদিও মানের দল বিদায় নিল কাতার বিশ্বকাপ থেকে।
বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দল ইংল্যান্ড। সেই ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ইংল্যান্ড। ৫৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ফাইনালেই উঠতে পারেনি। এবার কাতার বিশ্বকাপে উড়ছে হ্যারি কেইনের দল। গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার।
কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। এমন পারফরম্যান্স করার পর ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নিয়ে চিন্তায় থাকবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাও।
ছবিঃ ইন্টারনেট।