আহম্মেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে এশিয়ার পাওয়ার হাউজ জাপানের মুখোমুখি হয় লাতিন আমেরিকার দল কোস্টারিকা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু’দল। ৮০ মিনিটে কেশের ফুলারের করা একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোস্টারিকা।
বিশ্বকাপে জাপান নিজেদের প্রথম ম্যাচে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ হারিয়ে চমকে দিয়েছিল।
জাপানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছিল মায়া ইয়োশিন্ডারা। প্রথম ম্যাচ হেরে নিজেদের লড়াই অত্যন্ত কঠিন করে ফেলেছিল। নকআউটের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য নাভাসদের এই ম্যাচ জিততেই হত। আর সেটাই করে দেখালেন কোস্টারিকা।
ম্যাচের শুরু থেকেই পাওয়ার ফুটবল খেলে জাপান-কোস্টারিকা। ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় দু’দল। কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কোস্টারিকা। বল পজিশন নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণ সাজায় কোস্টারিকা। অপরদিকে কিছুটা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলতে থাকে জাপান।
৫৭ শতাংশ বল দখলে রাখা জাপান আক্রমণ করেছে ১৩টি। ৩টি শট গোলমুখে রেখেছে। কোনো গোলই পায়নি জাপান। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে ৪ আক্রমণ করে ১টি মাত্র শট গোলমুখে রেখে তাতেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে কেইলর নাভাসের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধের তুলনায় আক্রমণের মাত্রা অনকেটা বাড়ায় জাপান ও কোস্টারিকা। বলল পজিশন ও গোলমুখী শট বেশি থাকলেও কাজের কাজটা করে উঠতে পারেনি এশিয়ার শক্তিধর দেশটি। অল্প সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করে কোস্টারিকাকে এগিয়ে কেশের ফুলার।
উল্লেখ্য, জাপান-কোষ্টারিকা ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে একেবারে দুই মেরুতে অবস্থান করছিল দুই দেশ। কিন্তু এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিল বদলে গেল। এই মুহূর্তে এক ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে স্পেন।
ছবিঃ ইন্টারনেট।