Vande Bharat Train: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঘুমিয়ে সফর করতে পারবেন, সুসংবাদ দিল রেল

Published By: Khabar India Online | Published On:

যাত্রীদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে আসছে ভারতীয় রেলওয়ে। মোদি সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার একটি ফল হলো এই বন্দে ভারত ট্রেন।

ট্রেনটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। দেশে মোট ৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চলাচল করছে। এই ট্রেন সম্পর্কে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। ভারতীয় রেল এই ট্রেনে কিছু পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এখন এই ট্রেনে স্লিপার বার্থও বসানো হবে। দূরপাল্লায় যাতায়াতের সময় যাত্রীরা ট্রেনেই ঘুমানোর সুবিধা পাবেন। রাতে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের সুবিধা হবে। এই ধরনের স্লিপার কোচ তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। তৈরি হচ্ছে ICF চেন্নাইয়ে।

আরও পড়ুন -  গুগল-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা

বর্তমানে চলমান সমস্ত বন্দে ভারত ট্রেন চেয়ার কার। এসব কোচে বসেই যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এই ট্রেনগুলি দিনের বেলায় চলাচল করলেও রেলপথ পরিবর্তনের পর এই ট্রেনগুলি দিন ও রাতে চলবে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী চেয়ার কার ও স্লিপার কোচের মধ্যে বেছে নিতে পারবেন।

রেল মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে যে, স্লিপার কোচ সহ বন্দে ভারত ট্রেনটিকে শীঘ্রই ভারতীয় ট্র্যাকে চলতে দেখা যাবে। একটি সূত্রের মতে, রেলওয়ের একটি পরিকল্পনা রয়েছে যে ২০২৩ সালে, স্লিপার কোচ সহ বন্দে ভারত ট্রেন এপ্রিল মাস নাগাদ ভারতের ট্র্যাকে চলতে শুরু করবে।

আরও পড়ুন -  দিল্লি থেকে কোথায় যাচ্ছে নতুন বন্দে ভারত ট্রেন? রুট সহ সব জানুন

যদি হয়, তাহলে এই ট্রেনটি রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো কাজ করবে, যাতে যাত্রীরা স্লিপার এসি কোচের সুবিধাও পাবেন। পাশাপাশি বন্দে ভারত ট্রেনে থাকবে অনেক আধুনিক সুবিধাও। বর্তমানে এই দেশীয় সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি বর্তমানে দেশের মোট ৫টি রুটে চলছে। এই রুট হল দিল্লি-বারানসী, দ্বিতীয়টি, নিউ দিল্লি-শ্রী বৈষ্ণোদেবী মাতা কাটরা, তৃতীয় গান্ধীনগর থেকে মুম্বাই, চতুর্থ নতুন দিল্লি থেকে আম্ব আন্দাউরা স্টেশন হিমাচল, পঞ্চম চেন্নাই-মহীশূর। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদি নভেম্বর মাসে পঞ্চম এবং দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনের উন্মোচন করেছেন।

আরও পড়ুন -  Vande Bharat: তিনটি বন্দে ভারত ট্রেন চালু হতে চলেছে, রেল যাত্রীদের কাছে দারুন সুখবর

এই ট্রেনটি মাত্র ৫২ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতি ধরতে পারে। সেই সঙ্গে এই ট্রেনের সমস্ত বগি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে। ট্রেনের সব দরজাই সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। এই ট্রেনে জিপিএস সিস্টেম এবং ওয়াইফাইও লাগানো আছে।