ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পোলিশ ভূখণ্ডে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর ছোড়া একটি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র বলে স্বীকার করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। ন্যাটো আরও বলছে, রাশিয়া ন্যাটো সদস্য দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বুধবার ন্যাটো রাষ্ট্রদূতদের জরুরি বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, পোল্যান্ডে সম্ভবত ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিলো। রাশিয়া চূড়ান্তভাবে দায়ী কারণ তারা যুদ্ধ শুরু করেছিল।
জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, যে যুদ্ধের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য রাশিয়া দায়ী, এটি ইউক্রেনের দোষ নয়।
স্টলটেনবার্গ বলেন, ঘটনাটি ইউক্রেনের যুদ্ধের ঝুঁকি প্রমাণ করেছে, সামরিক জোটের সদস্যদের বিরুদ্ধে হুমকির মূল্যায়ন পরিবর্তন করেনি।
তিনি বলেন, রাশিয়া ন্যাটো মিত্রদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
পোল্যান্ড ইঙ্গিত দিয়েছে, যেহেতু ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর ছোড়া এবং রাশিয়ার নয়, তারা শেষ পর্যন্ত ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ আহ্বান করবে না। যা নিরাপত্তা হুমকির মুখে মিত্রদের সাহায্যের আহ্বান করে।
আগে মার্কিন কর্মকর্তারাও একই দাবি করেছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইউক্রেন জুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোর উপর রাশিয়ান বোমাবর্ষণের সময় একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরোধ করার চেষ্টায় ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী, পোলিশ ভূখণ্ডে আঘাত হানে।
উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাতে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের এক গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন।
সূত্রঃ রয়টার্স, আল জাজিরা, ছবিঃ সংগৃহীত।