কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও কোচবিহারের বিজেপি এমপি নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলো আলিপুরদুয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোর্ট।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহরের একটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই চুরির ঘটনায় আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে নিশীথ প্রামাণিকেরও নাম ছিল, তখন তিনি বিজেপিতে ছিলেন না।
২০১৯ সালে নিশীথ এমপি ভোটে জেতার পর মামলাটি বিধাননগরের এমপি আদালতে স্থানান্তরিত হয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন নিশীথ। হাইকোর্টের নির্দেশে বিধাননগরের আদালত থেকে সেই মামলা আলিপুরদুয়ার লোয়ার কোর্টে পাঠানো হয়।
আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানিয়েছেন, আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে বুধবার মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে একাধিকার টেলিফোন করা হলে পাওয়া যায়নি। ফোন সুইচঅফ ছিল। মেসেজ পাঠানো হলেও, উত্তর দেননি।
প্রশান্ত বলেন, বুধবার এই মামলার শুনানিতে নিশীথ প্রামাণিকের পক্ষে কোনও আইনজীবীও ছিলেন না। ক্ষুদ্ধ হয়ে থার্ড কোর্টের বিচারক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।
নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী এলাকায় দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আইন সবার ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। আদালতে হাজিরা না দিলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়, সবাই জানেন। কেউ যদি মনে করেন আমি এমএলএ, এমপি বা মন্ত্রী, আমার ক্ষেত্রে আলাদা আইন হবে, সেটা তো হয় না।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। আইনিভাবে যেটা হওয়ার সেটা হবে। অনেক নেতার নামেই অনেক সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আইনকে বা আদালতকে অস্বীকার করা যাবেনা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ‘বাংলাদেশি নাগরিকত্ব’ নিয়ে পশ্চিমঙ্গের রাজনীতিতে হইচই হয়েছিলো। আসামের কংগ্রেস আইনপ্রণেতা রিপুন বোরা প্রথমে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
ফাইল ছবি।