একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে একদিনের সফরে শুক্রবার বেইজিং পৌঁছেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ।
দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে ২০১৯ সালে কোভিড মহামারী শুরুর পর থেকে এশিয়ার দেশ সফরকারী প্রথম জি৭ নেতা হিসেবে চীন সফরে গেছেন শোলজ।
সফরটি কয়েকটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন পশ্চিম ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তাইওয়ান এবং বেইজিংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে উত্তেজনাপূর্ণ। শোলজের এই সফরটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জার্মানির বিরোধীদলীয় নেতা নরবেট রোয়েটগার রেইনিশে পোস্টকে বলেছেন যে, শোলজের কৌশল হল চীনের সাথে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া। ক্ষমতাসীন জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতার জন্য অতীতে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শোলজের দাবি, মহামারীজনিত দীর্ঘ বিরতির পরে চীনের সাথে সরাসরি কথা বলা ‘সব বেশি গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি বলেন, বিতর্কগুলিকে উপেক্ষা করা হবে না এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জার্মান চ্যান্সেলর শোলজ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বীপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, জার্মান চ্যান্সেলরের বেইজিং সফর দুই দেশের মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতাকে গভীর করবে।
শি বলেন, বার্লিন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক এখনও বিদ্যমান। জার্মানির পণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য বাজার হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷
উল্লেখ্য, জার্মানি জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জার্মানিকে মরিয়া হয়ে দ্রুত বিকল্পের সন্ধান করতে।
চীনের মতো একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও জার্মানি এখন নরম মনোভাব দেখাচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, চীনের ওপর বেশি নির্ভর করতে গিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর শোলজ এখন একই ভুল করছেন, এর আগে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে যে ভুল করেছিলেন।
সূত্রঃ এএফপি, আল জাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।