সবচেয়ে সুন্দরী ও বিশ্বসুন্দরীদের তালিকায় অন্যতম সেরা বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের জন্মদিন আজ।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ৫০ বছরে পদার্পণ করলেন অভিনেত্রী। মডেলিংয়ের নেশা ছিল তার ছোটবেলা থেকেই। ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার জগতে রাজত্ব করার পর তিনি ১৯৯৭ সালে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।
ঐশ্বরিয়া রাই তার কলেজজীবন থেকেই মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। চলচ্চিত্রে আসার আগেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে তিনি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন এবং টিভি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন।
১৯৯৪ সালে তিনি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়াতে প্রবেশ করেন এবং সুস্মিতা সেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যখন সুস্মিতা মুকুটটি ঘরে তোলেন, ঐশ্বরিয়া প্রথম রানার আপ হন। একই বছর তিনি মিস ওয়ার্ল্ড ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেন।
মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর ঐশ্বরিয়া রাই চলচ্চিত্রের অফার পেতে শুরু করেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা মণি রত্নমের হাত ধরে ১৯৯৭ সালের তামিল চলচ্চিত্র ইরুভারের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। ওই বছর বলিউড সিনেমা ‘অর পেয়ার হো গেয়াতে’ অভিনয় করে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
শক্তিশালী অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী অভিনেত্রীদের তালিকায়ও জায়গা করে নেন এই সুন্দরী। বলিউডের ঐশ্বরিয়াকে ঘিরে আগ্রহ ছিল হলিউডের বিখ্যাত পরিচালকদের মাঝেও।
তিনি অল্প কয়েকটি হলিউড সিনেমায় কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে বলিউডেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন। অভিনয় করেছেন তামিল, তেলুগু এবং বাংলা চলচ্চিত্রেও। বলিউডের অন্যতম সেরা ড্রামা দেবদাসের ‘পারু’ হিসেবে আজও ভক্তদের হৃদয়ে দোলা দেন অভিনেত্রী।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন পদ্মশ্রী খেতাব জিতেছেন। দুইবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পাশাপাশি আরো বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ঐশ্বরিয়ার সিনেমা ‘পোন্নিয়ান সেলভান’। মণি রত্নম নির্মিত পিরিয়ড ড্রামার সিনেমাটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরলেন এই সুন্দরী। বিশ্বব্যাপী আয়ের ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসায় ভাসছেন ঐশ্বরিয়া।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।