যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামী পল পেলোসির ওপর হিংসাত্মক হামলা হয়েছে। রাজনৈতিক উত্তেজনা ফুটে উঠছে।
শুক্রবার পল পেলোসির উপর হামলার খবরের মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে, মার্কিন সরকার সারা দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনায় নির্বাচনী প্রার্থী এবং নির্বাচনী কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রুখতে প্রয়েজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছ।
শুক্রবার, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস জানিয়েছে, নিবার্চনের আগে একাধিক কংগ্রেস সদস্য ফোনে মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন।
আগে জুন মাসে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ব্রেট কাভানাফের বাড়ির কাছে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়, স্বীকার করে যে রক্ষণশীল বিচারকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
গত জুলাইয়েও, গভর্নর পদে রিপাবলিকান প্রার্থী লি জেলডিন, প্রচারণা সমাবেশের সময় মঞ্চে হামলার শিকার হন। কংগ্রেস নারী সদস্য প্রমিলা জয়পাল, ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন উদারপন্থী নেত্রী, সিয়াটলে তার বাড়ির বাইরে একটি হ্যান্ডগান নিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি পেয়েছিলেন। রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেলর গ্রিন অসংখ্য বেনামী কলে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দলীয় সহিংসতা এবং এর হুমকি অবশ্যই মার্কিন রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রতিক হামলাটি পাঁচ বছর আগে ঘটেছিল, যখন একাধিক অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি শহরের একটি পার্কে বেসবল খেলতে থাকা রিপাবলিকান রাজনীতিবিদদের উপর গুলি চালায়। পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ইউএস ক্যাপিটল পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য থেকে বোঝা যায় একটি সহিংস তরঙ্গ তৈরি হচ্ছে।২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর কংগ্রেসের সদস্যদের বিরুদ্ধে হুমকি সংক্রান্ত মামলা বেড়েছে ৷
২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে, বিভাগটি ১৮০০টিরও বেশি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে ৷ এর প্রতিক্রিয়ায়, ক্যাপিটল পুলিশ জুলাই মাসে ঘোষণা করেছিল যে এটি কংগ্রেসের সদস্যদের বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়াতে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করবে।
রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা আগামী ৪ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনের কাঠামো তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠিক তখনি দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি, প্রতিকী ছবি।