ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৬৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। নির্ধারিত ২০ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৬৩ রান।
কিউইদের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৩৮ বল খেলে দুটি ৬ এবং ছয়টি ৪ এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫৯ রান সংগ্রহ করেন। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন গ্লেন ফিলিপস। ২২ বলে এক ছয়ে ও এক চারে ২৯ রান করেন তিনি। কিউইদের হয়ে ফিন অ্যালেন ১২, ডেভন কনওয়ে ১৪, মার্ক চ্যাপম্যান ২৫, জেমস নিশাম ১৭, টিম সাউদি এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল ১ রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছে নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান একটি করে উইকেট নিয়েছেন। উইকেট শূন্য ছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। নির্ধারিত ৪ ওভারে ৩৭ রান দেন তিনি।
১৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমকে শুরুতেই হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ১৪ বলে ১৫ রান করা তাকে দলীয় ২৯ রানে হারায় পাকিস্তান। শান মাসুদ খেলছিলেন বেশ ধীরগতিতে, ২১ বলে ১৯ রান করে তিনিও ফেরেন দলীয় ৬৪ রানে। মোহাম্মদ রিজওয়ানও যখন ফিরলেন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে, পাকিস্তানের তখনো চাই আরও ৯০ রান, হাতে ছিল মাত্র ৫১ বল।
পাকিস্তানকে টেনেছেন মোহাম্মদ নওয়াজ, হায়দার আলী আর ইফতিখার আহমেদ। দলীয় ১৩০ রানে হায়দার ফেরেন ১৫ বলে ৩১ রান করে। একটু পর যখন আসিফ আলীও ফিরলেন, তখন ধসের ভয় ঢুকে যাওয়াটাও অসম্ভব কিছু ছিল না পাকিস্তান শিবিরে।
ইফতিখার আর নওয়াজের ঝোড়ো ব্যাটিং পাকিস্তানকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেয়নি। দুজনের ২০ বলে ৩৬ রানের জুটি পাকিস্তানকে এনে দেয় ৫ উইকেটের জয়। বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠিত এই বাংলাওয়াশ সিরিজের চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ছবিঃ সংগৃহীত।